সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তান আবার কট্টরপন্থি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে নারীদের অধিকার কিভাবে রক্ষা পাবে?
আফগান নারী অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনই বা কিভাবে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে? এসবকিছুই আফগানিস্তান বিষয়ক দূতের কাছ থেকে জানতে চান মার্কিন আইনপ্রণেতারা।
বাইডেন এবছর ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। তার এ ঘোষণার পর মার্কিন সেনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের আফগানিস্তান নীতির প্রথম শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে চলেছেন আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ।
বাইডেন গত ১৪ এপ্রিলে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর ঘোষণার সময়ই বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগান নিরাপত্তা বাহিনী, নারীসহ বেসামরিক কর্মসূচিগুলোতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের অনেকেই আফগানিস্তান থেকে ২ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। সেনারা চলে এলে আফগানিস্তান আবার তালেবানের কবলে চলে যাবে বলে তারা উদ্বিগ্ন।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালেবানের শাসনামলে দেশটির নারীদের অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে তালেবান শাসন উৎখাত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আফগানিস্তানের উন্নয়নে বিশেষত, নারীদের শিক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে।
মার্কিন সেনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির একমাত্র নারী সদস্য এবং ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর জেনি শাহীন মনে করেন, আফগানিস্তান বিষয়ক দূত খলিলজাদ নারীদের বিষয়টিকে যথেষ্ট প্রাধান্য দেননি।
১১ সেপ্টেম্বরের পর আফগান নারী অধিকারের সুরক্ষা পরিকল্পনায় কী করা হচ্ছে তা এখনও অনেকটাই অন্ধকারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, আমরা যা কিছুই পারি তা করে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।”
রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, তালেবান যে আবার স্কুল বন্ধ করে দেবে এবং নারীদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।