স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের স্প্রিং বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইনের আওতায় লন্ডনের
মুসলমানদের টিকা নেওয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেছেন, রোজা রেখে দিনের
বেলায় টিকা নিতে কোনো সমস্যা নেই।
“টিকা নিতে
সক্ষম হলে জীবন রক্ষাকারী কোভিড-১৯ টিকা না নেওয়ার কোনো কারণ নেই। এর ফলে রোজা
ভাঙবে না।”
পূর্ব লন্ডনের
দ্য প্রজেক্ট সার্জারিতে কাজ করছেন ডাক্তার ফারজানা। অন্যান্য মুসলমানদের মত তিনিও
ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে চলেন।
ফারজানা পূর্ব
লন্ডনের একজন সিনিয়র জিপি (জেনারেল প্র্যাকটিশনার) এবং ২০১৯ সালে তিনি সেরা জিপি
হয়েছিলেন। লন্ডনে যে চিকিৎসকরা মানুষকে টিকা নিতে উৎসাহ দিয়ে আসছেন, তিনি তাদের একজন।
ফারজানা বলেন, “কোরআন
বলেছে, জীবন রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ, একজনের জীবন রক্ষা করা মানে পুরো মানবজাতিকে
রক্ষা করা। টিকা নেওয়ার ডাক পেলে নিজেকে ও স্বজনদের সুরক্ষায় টিকা নেওয়া প্রত্যেক
মুসলমানের দায়িত্ব।”
কোভিড টিকার
বুস্টার ডোজ সুরক্ষা বাড়াতে সাহায্য করবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কোভিডের আক্রমণে এটি
গুরুতরে অসুস্থ হওয়া এবং হাসপাতালে ভর্তির হার কমাবে। স্প্রিং বুস্টার ডোজ নেওয়ার
ডাক পাওয়া সকলকে আমি আহ্বান জানাই, যত দ্রুত সম্ভব টিকা নিতে এগিয়ে আসুন।”
লন্ডনের ৭৫ বছর বা তার বেশি বয়সীরা, যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তারা
জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার কর্মসূচিতে বুকিং সার্ভিসের মাধ্যমে স্প্রিং বুস্টার ডোজের
জন্য অগ্রিম আবেদন করতে পারবেন।
লন্ডনে কয়েক
হাজার মানুষ ইতোমধ্যে নিজেদের এবং প্রিয়জনদের সুরক্ষায় কোভিড টিকার চতুর্থ ডোজ
নেওয়ার ডাকে সাড়া দিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে,লন্ডন
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বুস্টার ডোজ কর্মসূচির কারণে গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে প্রায়
১ লাখ ৯৭ হাজার মানুষের হাসপাতালে ভর্তির মত পরিস্থিতি এড়ানো গেছে।
জীবন রক্ষাকারী টিকা নেওয়ারা কার্যক্রম সহজ করতে পূর্ব লন্ডন মসজিদ এবং উত্তর
লন্ডনের আসুনাহ মসজিদসহ কয়েক ডজন মসজিদের ভেতর কিংবা বাইরে অস্থায়ী ক্লিনিক বসানো
হবে।
ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বেশ কয়েকটি টিকাদান কেন্দ্র খোলা রাখার সময়
বাড়ানো হয়েছে। মুসলমানরা চাইলে ইফতারের পরেও টিকা নিতে পারবেন।
অনলাইনে বা বিনা খরচায় ১১৯ এ ফোন করেও টিকার বুস্টার ডোজের আবেদন করা যাবে। ১১৯
হটলাইনে ২০০ রকমের ভাষায় সহযোগিতা পাওয়া যাবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা
পর্যন্ত টিকাদান চলবে।
মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেনের
সহযোগী সংস্থা ‘ব্রিটিশ ইসলামিক মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন’ (বিমা) জোর দিয়ে বলেছে, “রমজান
মাসে টিকা নেওয়া ঠিক, কারণ এটি পুষ্টিকর নয়। কিংবা এতে কোনো প্রাণী বা ভ্রূণ জাতীয়
কিছু নেই।”
বিআইএমএ কাউন্সিলের
সদস্য এবং কোভিড রেসপন্স গ্রুপের ডা. আমের হামেদ বলেছেন, “বিআইএমএ কাউন্সিল রমজান
মাসে মুসলমানদেরকে মাস্ক পরতে, বাড়ি ও মসজিদে ভেন্টিলেইশন আলোবাতাস প্রবেশের
ব্যবস্থা করতে, নিয়মিত হাত ধুতে এবং বুস্টার ডোজ নিতে উৎসাহিত করছে।”
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!