কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার কয়েকটি নগরীতে কারফিউ উপেক্ষা করে এই বিক্ষোভ হয়।
রাজধানী কলম্বোতে বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার সম্মুখীন হয়েছে। ওদিকে, ক্যান্ডি শহরে কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভে নামা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার কলম্বোয় প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে কয়েক শ মানুষ বিক্ষোভ করার পর তা ঠেকাতে সেদিন রাতেই কারফিউ এবং পরে শুক্রবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
এরপর শনিবার দেশব্যাপী টানা ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেন তিনি। এর আওতায় কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া কোনও স্থানে মানুষের চলাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়। স্যোশাল মিডিয়াও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
এই কারফিউ বলবৎ থাকার কথা রয়েছে সোমবার ০০:৩০ জিএমটি পর্যন্ত। তার আগেই রোববার বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে আসেন বিরোধী দলের অনেক আইনপ্রণেতা। তারা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেনা সদস্যরা তাদেরকে বাধা দেন।
রাজধানী কলম্বোর রাস্তায় রাস্তায় এদিন বিপুল সেনা উপস্থিতি দেখা গেছে। শত শত বিক্ষোভকারী ইনডিপেনডেন্স স্কয়ার অভিমুখে যাত্রা করলে তাদেরকে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে।
বিশাল অঙ্কের ঋণ, তার সঙ্গে মহামারীর খাঁড়ার পর ইউক্রেইন যুদ্ধ একেবারে পথে বসিয়ে দিয়েছে সোয়া ২ কোটি মানুষের দেশ শ্রীলঙ্কাকে। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এতটাই কমেছে যে তা দিয়ে এক মাসের আমদানি ব্যয়ও মেটানো যাবে না। এই পরিস্থিতিতে দেখা দিয়েছে গণবিক্ষোভ।