ক্যাটাগরি

চট্টগ্রামে খুচরা ছেড়ে পুদিনা এখন কেজিতে, ধনে পাতাও দামী

ব্যবসায়ী-বিক্রেতারা বলছেন,
অন্যান্য সময়ে ৫/১০ টাকার খুচরা পুদিনা পাতা বিক্রি হলেও ‘চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়’ রোজায়
বিক্রি হচ্ছে কেজিতে। শশা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে রোজার আগে বেড়ে যাওয়া দামেই।

রোববার বন্দরনগরীর বড় সবজির
বাজার রেয়াজউদ্দিন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পুদিনা পাতা উঠেছে প্রচুর।

এ বাজারের বিক্রেতা আব্দুর
রহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বছরের অন্য সময়ে তিনি পুদিনা পাতা রাখেন না,
তবে রোজায় চাহিদা বেশি থাকে বলে বিক্রি করছেন।

রেয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তে
৪০-৫০ টাকায় এবং খুচরা বিক্রেতারা ৬০-৮০ টাকা কে দরে পুদিনা পাতা বিক্রি হতে দেখা গেল।

রেয়াজউদ্দিন বাজার ছাড়াও,
কাজির দেউড়ি সিডিএ মার্কেটে দেখা গেল, গরমের বিভিন্ন সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেগুন
ও শসার দাম বেশি।  

বেগুন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি
দরে বিক্রি হয়েছে। রোজা শুরুর কয়েক দিন আগে থেকেই অবশ্য এই দামে বেগুন কিনেছেন চট্টগ্রামের
ক্রেতারা। আগের সপ্তাহে ছিল ২৫ টাকা কেজি।

বেগুনের মতো শসাও কেজি প্রতি
৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছিল ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০
টাকা কেজি দরে।

কাঁচা মরিচের দাম ৪০ টাকায়
স্থিতিশীল থাকলেও ধনে পাতার কেচি ৯০ থেকে ১১০ টাকায় উঠেছে। তবে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যেই
এক কেজি টমেটো মিলছে।   

রেয়াজউদ্দিন বাজারের বাইরে
কাজীর দেউড়ি বাজারসহ অন্যান্য স্থানে এসব সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে যেতে
দেখা গেছে।

বাজারে আলুর দাম বাড়েনি,
গত কয়েক দিনের মত ১৬ থেকে ১৭ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে । তবে একসঙ্গে সাত কেজি কিনলে
পাওয়া যাচ্ছে ১০০টাকায়। এক কেজি পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় পাচ্ছেন ক্রেতারা।

চিনি, ছোলা, সয়াবিন তেলে
দামও স্থিতিশীল রয়েছে চট্গ্রামের বাজারে। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৬ থেকে ৭৮ টাকা কেজিতে।
ছোলা মান ভেদে ৬৮-৭৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ডালের মধ্যে বড় দানার মসুর
৯৫টাকা, ছোট মসুর ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য ডালের দামেও তেমন কোনো হেরফের হয়নি।

সয়াবিন তেলের এক লিটারের
বোতল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, আর পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৭৮০ টাকা রাখছেন দোকানিরা।
 

গরুর মাংস প্রতি কেজি হাড়সহ
৭৫০ টাকা, হাড় ছাড়া ৭৮০টাকা, খাসির মাংস ৯৫০ টাকা কেজি রাখছেন বিক্রেতারা। ব্রয়লার
মুরগি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।