ক্যাটাগরি

চিকিৎসক বুলবুল হত্যা: দুই ছিনতাইকারীর ‘স্বীকারোক্তি’

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন রোববার দুই আসামি সোলাইমানের এবং আরিয়ান ওরফে হাফিজুলকে চার দিনের রিমান্ডের তৃতীয় দিনে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করে জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন জানান। 

পরে মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম আসামি সোলাইমানের এবং আরেক মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান আসামি আরিয়ানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার মো. জাফর বলেন, “দুই আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছিল। দুজন বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।”

গত ৩১ মার্চ এ দুই আসামিসহ চার ছিনতাইকারীর চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত। সেই রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিল। বাকি দুই আসামি রায়হান ওরফে আপন এবং রাসেল হোসেন হাওলাদার এখনও রিমান্ডে রয়েছেন।

গত ২৭ মার্চ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়াপাড়ায় মেট্রোরেলের ২৭৮ নম্বর পিলারের কাছে ছুরিকাহত হন বুলবুল। তাকে প্রথমে ওই এলাকার আল হেলাল হাসপাতালে নিয়ে যান পথচারীরা। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা না পাওয়ায় নেওয়া হয় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

বুলবুলের স্ত্রী শাম্মী আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর ৩০ জুন চারজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা সবাই ‘পেশাদার ছিনতাইকারী’। ছিনতাই করতে গিয়েই তারা বুলবুলকে ছুরি মারে, এর সঙ্গে ওই চিকিৎসকের ‘ঠিকাদারী ব্যবসার বিরোধের কোনো বিষয় নেই’।

৩৮ বছর বয়সী বুলবুল দন্ত চিকিৎসক হিসেবে মগবাজারে ‘রংপুর ডেন্টাল’ নামের একটি চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখতেন। পাশাপাশি গত পাঁচ বছর ধরে ‘মেসার্স রংপুর ট্রেডার্স’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও চালাতেন৷ বিএনপি ঘরানার চিকিৎসক বুলবুল ‘পথশিশু সেবা সংগঠন’সহ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেও যুক্ত ছিলেন।