রোববার ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন নেটব্লকস
এক টুইটে বলেছে, “রিয়েল-টাইম নেটওয়ার্ক ডেটায় দেখা গেছে, শ্রীলঙ্কা দেশব্যাপী সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশের সুযোগ বন্ধ করে রেখেছে।
“ব্যাপক বিক্ষোভের জেরে জরুরি অবস্থা ঘোষণার
পর টুইটার, ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রামে প্রবেশের সুযোগ সীমিত করা
হয়েছে।”
কলম্বোতে পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট
নিহাল থালডুয়া রয়টার্সকে বলেছেন, “টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমগুলো বন্ধ রেখেছে।”
খাদ্য ও জ্বালানি তেলের সঙ্কট, দিনে ১০ ঘণ্টার
বেশি লোডশেডিংসহ রেকর্ড মূল্যস্ফীতিতে করুণ দশায় পড়েছে শ্রীলঙ্কা। ঋণের চাপে অর্থনীতি
ভেঙে পড়ার দশা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে এসেছে তলানিতে।
এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসিডেন্ট
গোটাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ শুরু হলে কারফিউ জারি করে সরকার।
শুক্রবার সকালে ওই কারফিউ তুলে নিলেও শনিবার
আবারও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এই জরুরি অবস্থা সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে।
পুলিশের মুখপাত্র নিহাল থালডুয়া বলেছেন,
কলম্বোসহ পশ্চিম প্রদেশে কারফিউ ভঙ্গ করার অভিযোগে ৬৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সরকারের নির্দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের
চেয়ারম্যান জয়ন্ত ডি সিলভা রয়টার্সকে বলেছেন, “প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিশেষ
নির্দেশের কারণে অস্থায়ীভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
দেশ ও জনগণের স্বার্থে শান্তি বজায় রাখার জন্য এটা করতে হয়েছে।”
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এখনই সবচেয়ে কঠিন
অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবেলা করতে হচ্ছে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপ দেশটিকে।
এ বছর কলম্বোকে প্রায় ৬৯০ কোটি ডলারের ঋণ
পরিশোধ করতে হবে, অথচ জ্বালানি তেল আমদানির মত যথেষ্ট বিদেশি মুদ্রাও দেশটির সরকারের
হাতে নেই।
শ্রীলঙ্কার পরিসংখ্যান বিভাগ জানিয়েছে, মার্চে
মূল্যস্ফীতি হয়েছে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১৮.৭ শতাংশ। খাদপণ্যের মূল্যস্ফীতি
৩০.২ শতাংশে পৌঁছেছে।
আরও খবর-
শ্রীলঙ্কা এমন বেহাল কেমন করে হল?
আর্থিক দুর্দশায় শ্রীলঙ্কা, কাগজ সংকটে স্কুলের পরীক্ষাও বন্ধ
শ্রীলঙ্কায় প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার ঘোষণা