রোববার সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “তারা (বিএনপি) ২০১৮ সালের আগেও মোর্চা করেছিল।
বাম-ডান, অতিবাম-অতিডান-তালেবান সবাইকে নিয়ে তারা মোর্চা করেছিলো, নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলো।
সেই মোর্চার মাধ্যমে ফলাফল মাত্র পাঁচটি আসন।
“এবারও তারা মোর্চা করার
চেষ্টা করছে, প্রেসিডেন্ট আছে তো সেক্রেটারি নাই, দুইজন নিয়ে দল। সেগুলো নিয়ে তারা
মোর্চা করার চেষ্টা করছে। তারা চেষ্টার মধ্যে থাকতে পারে, তবে এই চেষ্টায় কোনো লাভ
হবে না।”
বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনের
সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি আসলে কোনো ইস্যু পাচ্ছে না তো, খড়কুঁটো আঁকড়ে
ধরে তারা তাদের রাজনীতিটাকে টিকিয়ে রাখতে চায়। যারা পুরুষ হয়ে বোরকা পরে হাই কোর্টে
গিয়ে জামিন চায়, তারা যখন সরকার পতনের আন্দোলনের কথা বলে- তখন মানুষও হাসে, বানরও হাসে।
তাদের এই খালি কলসি বেশি বাজার মতো কথা আমরা বহুদিন ধরে শুনে আসছি।
“সরকার পতনের আন্দোলন তো
২০০৯ সাল থেকেই শুরু করেছে, এরপর জনগণ আরও দু’বার ভোট দিয়ে আমাদেরকে দেশ পরিচালনার
দায়িত্ব দিয়েছে এবং তাদের এই হুমকি-ধামকির মধ্যেও আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাদেরকে ধস
নামানো বিজয়ের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে, সেটি আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে
দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাছান মাহমুদ বলেন, “করোনাভাইরাস এবং ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে ভারত,
পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইউরোপ, আমেরিকাসহ সমগ্র পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। ইউরোপে
খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। আমাদের দেশেও আমদানিনির্ভর
পণ্যের দাম বেড়েছে।
“প্রধানমন্ত্রী স্বল্প আয়ের
এক কোটি পরিবারকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছেন। এর বাইরেও শহরে ট্রাকে করে স্বল্পমূল্যে
পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতে বাজারেও প্রভাব পড়েছে। যে পণ্যগুলোর মূল্য বেড়ে গিয়েছিলো,
সেগুলো আস্তে আস্তে কমে এসেছে। তেল, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্যও কমেছে।”