চট্টগ্রামের এছাক ব্রাদার্স নামের একটি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে ঢাকার এইচ এম ফ্যাশন ওয়্যার নামক প্রতিষ্ঠানের পাঠানো গার্মেন্টস পণ্যের চালানে এ গরমিল ধরা পড়ে।
বেসরকারি ডিপোটিতে গত ৩০ মার্চ সন্দেহজনক চালানটি আটকে দেওয়ার পর শুক্রবার কাস্টমসের তরফ থেকে কায়িক পরীক্ষা সম্পন্নের পর রোববার সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-তকমিশনার আহসান উল্লাহ রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই চালানে টি শার্ট, পোলো শার্ট, জিন্স প্যান্টসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস পণ্য ২২ হাজার ৯৫৩ পিস রপ্তানির কথা বলা হলেও কায়িক পরীক্ষা করে সেখানে ৪১ হাজার ১৬৮ পিস পাওয়া গেছে।
রপ্তানি পণ্যের চালানে গরমিল, আটকে গেল ডিপোতেই
ওই চালানে ঘোষণার বাইরে অতিরিক্ত ১৮ হাজার ২১৫ পিস পণ্য পাওয়া যায়। ঘোষণা দেওয়া পণ্যের মূল্য ছিল ১০ লাখ ৩৬ হাজার ১০১ টাকা। অথচ কন্টেইনারে পাওয়া পণ্যের মূল্য ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫২৭টাকা।।
কাস্টমস কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ বলেন, চালানটি বিদেশে পাঠানোর মধ্য দিয়ে ঢাকার দক্ষিণখানের এইচ এম ফ্যাশন নামক প্রতিষ্ঠানটি অতিরিক্ত ১৮ হাজার ২১৫ পিসের মাধ্যমে আট লাখ ১৭ হাজার ৪২৬ টাকা পাচারের চেষ্টা করছিল।
এসব পণ্যের সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের মিম ইন্টারন্যাশনাল। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।