শুক্রবার ১৬ ও ১৭ বছর বয়সী ওই দুই কিশোরকে
লন্ডনের ‘হাইবেরি কর্নার ইউথ কোর্টে’ হাজির করা হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। উভয়ের বিরুদ্ধে
একাধিক সাইবার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতে হাজিরার পর শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন
দুই কিশোর।
‘ল্যাপসাস’ নিয়ে চলমান আন্তর্জাতিক তদন্তের
অংশ হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দুই কিশোর। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট,
ইউবিসফট এবং স্যামসাংয়ের মতো প্রথম সারির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সিস্টেমে
প্রবেশ করে একাধিকবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছে হ্যাকারদের দলটি।
বিবিসি জানিয়েছে, উভয়ের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে
কম্পিউটারে প্রবেশ ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির তিনটি করে অভিযোগ আনা হয়েছে; আর ভুয়া পরিচয়
ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে দুটি করে।
এ ছাড়াও, নির্দিষ্ট প্রোগ্রামে বেআইনি
প্রবেশাধিকার পেতে কম্পিউটার ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে ১৬ বছর বয়সী কিশোরের বিরুদ্ধে।
বাদিপক্ষের আইনজীবি ভ্যালেরি বেঞ্জামিনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, মামলাটি অত্যন্ত
জটিল হওয়ায় এবং কথিত ‘ব্যাপক ক্ষতির’ কারণে মামলাটি উচ্চআদালতে স্থানান্তর করা হবে।
আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে গোপন রাখা হচ্ছে
দুই কিশোরের নাম ও পরিচয়। মাইক্রোসফট, এনভিডিয়া, স্যামসাং এবং সর্বশেষ গ্লোব্যান্টের
কম্পিউটার সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করেছিল ল্যাপসাস। প্রতিবারই অনলাইনে প্রতিষ্ঠানগুলোর
গোপন ডেটা ফাঁস করে দিয়ে বড়াই করেছে হ্যাকাররা।
‘ল্যাপসাস’ নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের
নেতৃত্ব দিচ্ছে লন্ডন শহরের পুলিশ বিভাগ; যুক্তরাজ্যে ১৬ থেকে ২১ বছর বয়সী সাত সন্দেহভাজনকে
গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছিলে গেল সপ্তাহেই।
সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশিত
হওয়ার কাছাকাছি সময়েই ল্যাপসাস নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেলের ৪৫ হাজার ফলোয়ারকে ঘোষণা
দিয়ে জানায়, তাদের কয়েকজন সদস্য ‘ছুটিতে আছেন’।
গেল সপ্তাহের বুধবারেই টেলিগ্রামে আবার
পোস্ট করা শুরু করে ল্যাপসাস। হ্যাকিংয়ের শিকার প্রতিষ্ঠানের গোপন ডেটা পোস্ট শুরু
করে তারা। এবারের ভুক্তভোগী বাণিজ্যিক সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গ্লোব্যান্ট।