সোমবার রাতে ঢাকার ভাটারা ও রূপনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়
বলে জানান র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস।
গ্রেপ্তারার হলেন, মো. তুফায়েল ইসলাম (৩৪) ও মো.
বাচ্চু শিকদার (৩৮)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী বলেন, “এই চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে
বিক্রয় ডটকমে ‘বিটিএসএস প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানির নামে চাকরির বিজ্ঞাপন
দিয়ে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল।”
তিনি জানান, অনলাইনে ওই বিজ্ঞাপন দেখে একজন ছাত্র আবেদন করেন এবং ওই চক্রের
প্ররোচনায় ৩ লাখ টাকা পরিশোধের পর প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
“তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য র্যাব-৩ গোয়েন্দা
নজরদারি বাড়ায়। পরে ওই দুইজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারকচক্রের
সদস্য বলে স্বীকার করেছে।”
এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ওই চক্রের সদস্যরা প্রথমে তারা অনলাইনে চাকরির
বিজ্ঞাপন প্রচার করে প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন সংগ্রহ করত। এরপর বাচ্চু শিকদার নিজেকে
‘কর্নেল জাকারিয়া মাহমুদ’ পরিচয় দিয়ে ফোন করে প্রার্থীদের সাথে কথা বলতেন।
“তারপর তারা ভুয়া কোম্পানির লোগো সম্বলিত আইডি কার্ডসহ নিয়োগপত্র কুরিয়ার
সার্ভিসে পাঠিয়ে ভুক্তভোগীদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতেন।”
বীণা রানী বলেন, প্রতারকরা ওই ছাত্রকে বলেছিল, বিটিআরসি অনুমোদিত আধা-সরকারি
প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিভিন্ন উপজেলায় সাব-অডিট অফিস তৈরি করে অডিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ
করা হবে তাদের।
“এ ছাড়া ডিজিটাল যুগের ইলেকট্রনিক্স জালিয়াতিসহ অডিট অফিসে অডিটরদের দুর্নীতি
প্রতিরোধের জন্য নতুন অডিট অফিস তৈরি করা হবে। সেজন্য অডিট অফিসার হিসেবেও লোক নিয়োগ
দেবে। এসব বলে একপর্যায়ে তারা পরীক্ষার ফি, মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি, চাকরির
নিরাপত্তা জামানত- ইত্যাদির কথা বলে ওই ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে
নেয়।”