কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই মঙ্গলবার ভোর থেকে এই কর্মবিরতির কারণে নগরীর
কামারপাড়া ঢাকা কোচস্ট্যান্ড হতে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি।
যদিও শ্রমিক সংগঠনগুলোর মোর্চা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের
রংপুর বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, “বাস চলাচল বন্ধ রাখার সঠিক কারণ আমার
জানা নেই। আমরা মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছি।“
“আমরা চাই না রমজান মাসে পরিবহনের জন্য মানুষের কষ্ট হোক।”
তবে এনা পরিবহন, শাহ্ ফতেহ আলী পরিবহন, নাবিল পরিবহনের দূরপাল্লার বাস
চলতে দেখা গেছে।
দুপুরে ঢাকা কোচস্ট্যান্ডে সরেজমিনে দেখা গেছে, অলস সময় কাটাচ্ছেন চালক
ও শ্রমিকরা। কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ শুরু
হওয়া বাস চলাচল বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েছেন আগে থেকে টিকিট কেটে রাখা যাত্রীরা।
হানিফ পরিবহনের লিটন, কলারবয় রকিসহ বেশ কয়েক জন শ্রমিক জানান, বেতন-ভাতা
বৃদ্ধি, সড়কে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে তারা ভোর থেকে কর্মবিরতি পালন
করছেন।
তবে পাশের শাহ্ ফতেহ আলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার নূরে আলম রনি বিকালে
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা কোনো ধর্মঘট বা কর্মবিরতি আহ্বান করিনি। আমাদের
মালিকপক্ষের কাছে বেতন-ভাতা বাকি নেই। তাই আমরা কর্মবিরতিতে নেই।”
এসআর পরিবহনের কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছিলেন আকতার হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিবার নিয়ে ঢাকায় যেতে গতকাল সোমবার রাতে
টিকিট কেটেছি। কিন্তু সকালে কোচস্ট্যান্ডে এসে শুনছি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখন হঠাৎ
করে অন্য পরিবহনে যাওয়াটা তো কষ্টকর হয়ে দাঁড়াল।”
এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও মালিকপক্ষের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) আবু মারুফ হোসেন বলেন, “আমাদের
কাছে পরিবহন ধর্মঘটের কোনো নির্দেশ আসেনি। তবে শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। অতি
দ্রুত সমাধান হবে।”