ক্যাটাগরি

‘পাচারকালে’ ৪৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬

সোমবার
বিকাল সাড়ে ৫টায় উখিয়া উপজেলা সদরের সহকারী ভূমি কমিশনার কার্যালয়ের সামনে থেকে ওই
রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা গ্রেপ্তার করা হয় বলে উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ
জানান।

গ্রেপ্তাররা
হলেন- উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের হাজম রাস্তা এলাকার মোহাম্মদ ইউনুস ওরফে ফকিরের ছেলে
মোহাম্মদ আলী জোহার (২৮), একই এলাকার মোহাম্মদ জালালের ছেলে ইমাম হোসেন (৩৫),
জিয়াবুল হকের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (২০) ও মো. আয়ুব আলীর ছেলে মোহাম্মদ আয়াজ
(১৯), পালংখালী ইউনিয়নের ভাদিতলা এলাকার মোহাম্মদ রুবেল (১৯), টেকনাফ পৌরসভার
পুরান পল্লান পাড়ার ফজল আহমদ (৬৫)। ফজল ওই রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসের চালক ছিলেন।

ওসি
বলেন, “পাচারের উদ্দেশে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের দিকে রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি
বাস আসার খবর পেয়ে উখিয়া সদরের সহকারী ভূমি কমিশনার কার্যালয়ের সামনে পুলিশের একটি
অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি বসানো হয়।

“বাসটি
পৌঁছালে সেখান থেকে ১৭ নারী, ২২ জন পুরুষ, ছয়জন মেয়ে শিশু ও তিনজন ছেলে শিশুকে
উদ্ধার করা হয়। পাচারকাজে জড়িত সন্দেহে বাসটির চালকসহ ছয়জনকে আটক করা করা হয়। বাসটিও
জব্দ করা হয়েছে।”

মালয়েশিয়া পাচারকালে সাগর থেকে রোহিঙ্গাসহ ৫৮ জন উদ্ধার, আটক ২
 

‘মালয়েশিয়ার’ কথা বলে সোনাদিয়ায় নামাল ১৩৫ রোহিঙ্গাকে
 

তিনি
জানান, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে পুলিশ। 

“একটি
সংঘবদ্ধ চক্র রোহিঙ্গাদের পাচারে জড়িত। তারা চাকরি, বিভিন্ন বাসা বাড়িতে গৃহকর্মী
ও শ্রমিকের কাজসহ নানা প্রলোভন দিয়ে রোহিঙ্গাদের পাচার করছে। তারা নারীদের অনৈতিক কাজের
জন্যও দালালদের হাতে তুলে দিচ্ছে।”

এর
আগে গত ২৫ মার্চ মালয়েশিয়ায় পাচারকালে টেকনাফ উপকূলের গভীর সাগর থেকে নারী ও
শিশুসহ ৫৮ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে র‍্যাব। তাদের ছোট ট্রলারে করে গভীর সাগরে নিয়ে বড় জাহাজে তোলার ব্যবস্থা
করেছিল পাচারকারি চক্র।  

তার আগে মার্চের শুরুতে মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে ১৪৯ জন রোহিঙ্গাকে
ক্যাম্প থেকে নিয়ে ট্রলারে করে কয়েক দিন সাগরে ঘুরিয়ে মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপে
নামিয়ে দেয় পাচারকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে ভাসানচরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ।