ক্যাটাগরি

বড় পরিকল্পনা নিয়ে ক্রিপ্টোমুখী হচ্ছে ব্রিটিশ সরকার

বৈশ্বিক ক্রিপ্টো সম্পদের হাব
নির্মাণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ব্রিটেন কিছু ‘স্টেবলকয়েন’কে দেশের বিদ্যমান আর্থিক
নীতিমালার আওতায় আনতে নতুন আইন প্রণয়ন করবে বলে সোমবার জানিয়েছেন দেশটির আর্থিক সেবা
মন্ত্রী জন গ্লেন।

অন্যান্য ক্রিপ্টো মুদ্রার সঙ্গে ‘স্টেবলকয়েন’-এর
পার্থক্য হচ্ছে এর মূল্যায়ন করা হয় মূল ধারার মুদ্রা ব্যবস্থা বা স্বর্ণের মতো কোনো
পণ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। ফলে, বিটকয়েন বা বাজারে প্রচলিত অন্যান্য ক্রিপ্টো মুদ্রার
মতো দামের অস্থিতিশীলতার ঝুঁকিতে থাকে না ‘স্টেবলকয়েন’।

‘ফিয়াট মুদ্রা’র
সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ক্রিপ্টোমুদ্রা নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য ব্রিটিশ সরকারের।
সোনা বা রূপার বিপরীতে নয়, ফিয়াট মুদ্রার মূল্য নির্ধারণ করা হয় সরকারিভাবে। আন্তর্জাতিক
লেনদেনে জনপ্রিয় জাতীয় মুদ্রাগুলোর মধ্যে কেবল মার্কিন ডলার ফিয়াট মুদ্রার শ্রেণিভূক্ত।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়
বলছে, “এই প্রক্রিয়া চাহিদা অনুযায়ী সমমূল্যে ফিয়াট মুদ্রায় রূপান্তর নিশ্চিত করবে।”
এ ছাড়াও ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড ‘সিস্টেমিক’ স্টেবলকয়েন নিয়ন্ত্রণ করবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি।

চলতি বছরেই বিটকয়েনের
মতো অন্যান্য ক্রিপ্টো মুদ্রা প্রসঙ্গে নীতিমালা নির্ধারণের লক্ষ্যে আলোচনায় বসবে ব্রিটিশ
সরকার। এক্ষেত্রে ক্রিপ্টো মুদ্রা খাতে বিদ্যুৎ খরচের বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়ার কথা
উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

“ভবিষ্যতের একটা বড় অংশ
যদি ক্রিপ্টো মুদ্রা হয় তবে যুক্তরাজ্যের আমরা তার গোড়াতেই থাকতে চাই,” বলেছেন আর্থিক
সেবা মন্ত্রী গ্লেন।

“ক্রিপ্টোতে আমরা ব্যাপক
সম্ভাবনা দেখছি এবং আমরা এর সর্বোচ্চ ব্যবহারের সব সুযোগ নিতে চাই।”

‘বিস্তারিত পরিকল্পনার’
অংশ হিসেবে সরকারি বন্ডের মতো সম্পদের বেলায় ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহারের সম্ভাব্যতাও
যাচাই করে দেখার কথা জানিয়েছেন গ্লেন।

“আমি নিজেও উত্তরটা জানি
না, চলুন খুঁজে দেখি,” যোগ করেন তিনি।

রয়্যাল মিন্ট টোকেন

অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের
‘রয়্যাল মিন্ট’-কে এ বছরের গ্রীস্মেই বাজারজাত করার লক্ষ্যে নতুন ‘নন-ফাঞ্জিবল টোকেন’
বা এনএফটি বানাতে বলেছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাক।

‘রয়্যাল মিন্ট’
যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রায়ত্ব একটি প্রতিষ্ঠান, যুক্তরাজ্যের সকল কয়েনের নকশা ও উৎপাদন
করে থাকে ব্রিটিশ ট্রেজারির অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানটি।

বর্তমান বাজার কাঠামোতে
ব্লকচেইন প্রযুক্তির প্রয়োগ যাচাই করে দেখতে ২০২৩ সালে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং বাজার
পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘ফাইন্যানশিয়াল কনডাক্ট অথরিটি (এফসিএ)’ একটি নীতিনির্ধারণী ‘স্যান্ডবক্স’
চালু করবে বলে জানিয়েছেন গ্লেন।

আর যে স্বাধীন বিকেন্দ্রীক
প্রতিষ্ঠানগুলো ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে তাদের আইনি অবস্থান বিবেচনা করে দেখবে
যুক্তরাজ্যের আইন কমিশন। এ ছাড়াও, দেশের কর ব্যবস্থার উপর ক্রিপ্টো মুদ্রার প্রভাবও
বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখার কথা বলেছেন গ্লেন।

“আমাদের মনে হয় না ক্রিপ্টোর
সঙ্গে সহজে কাজ করার জন্য কর ব্যবস্থায় বড় কোনো পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের,” বলেন তিনি।