মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন নিজের খাসকামরায় ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আকাশকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে সাত দিনের রিমান্ড শেষে মাসুমকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নি.) মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার।
পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার মো. জাফর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মাসুম স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
জবানবন্দিতে হত্যার পরিকল্পনাকারী কে বা কারা, কয়দিন আগে পরিকল্পনা করা হয়, টাকার বিনিময়ে কিংবা কোনো সুবিধার বিনিময়ে এ হত্যাকাণ্ড কি না এসব বিষয় উঠে এসেছে কি না তা জানায়নি আদালত পুলিশ।
ঢাকার শাহজাহানপুরের আমতলী এলাকার রাস্তায় ২৪ মার্চ রাতে অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪)। তার মাইক্রোবাসের পাশে দাঁড়িয়ে গুলি ছোড়ে হেলমেটধারী আততায়ী।
ওই সময় গাড়ির কাছেই রিকশায় থাকা বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতিও গুলিতে নিহত হন। আহত হন টিপুর গাড়ি চালক মুন্না।
মাত্র মিনিটখানেকের মধ্যে কাজ সেরে হামলাকারী সড়ক বিভাজক টপকে গুলি করতে করতে রাস্তার অন্য পাশে অপেক্ষায় থাকা একটি মোটরসাইকেলে উঠে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি শুক্রবার সকালে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
টিপু প্রায় এক দশক আগে যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কী হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ৪-৫দিন আগে ফোনে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন তার স্ত্রী।
হত্যাকাণ্ডের তিন দিনের মাথায় গত ২৬ মার্চ আকাশকে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ২৮ মার্চ তাকে আদালতে তোলা হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন
টিপুকে খুন করতে ‘ভাড়া করা হয়’ আকাশকে, বলছে পুলিশ
বাবু খুনের মামলার আসামিরা ‘টিপুকেও হুমকি দিচ্ছিল’: স্ত্রী
জোড়া খুন: কেউ চিহ্নিত হয়নি, অস্ত্রটি ‘অত্যাধুনিক’ বলছে পুলিশ
জোড়া খুন: কোন নম্বর থেকে হুমকি পেয়েছিলেন টিপু, খুঁজছে পুলিশ
টিপু হত্যার ‘নেপথ্যের’ ব্যক্তিদেরও ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী