চলতি বছরের ২৪ মার্চ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে এ বিষয়ে সংবাদটি প্রকাশিত হয়।
বুধবার [৬ এপ্রিল] পাঠানো প্যারামাউন্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো. রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, তিন বছর আগে থেকে চলতি সময় পর্যন্ত ডায়নামিক সান এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেড [ডিএসইপিএল] রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে ১৩৯ একর অকৃষি জমি ক্রয় করে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ মহামারীর মধ্যে ভারত থেকে আসা-যাওয়া বন্ধসহ নানাবিধ সমস্যার কারণে এই জমি ‘এলাকার গুটিকতক সন্ত্রাসী এবং বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বিরোধিতাকারী রাষ্ট্রদ্রোহী ব্যক্তিগণ বেদখল করে নেয়’।
“এরই প্রেক্ষিতে ডিএসইপিএল কর্তৃক স্থানীয় জমি এরেঞ্জার এবং ডেভেলপার হিসেবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে প্যারামাউন্ট হোল্ডিংস লি. উক্ত জমি উদ্ধারে প্রচেষ্টা চালায়। ডিএসইপিএল উক্ত জমি উদ্ধারের জন্য আমাদেরকে সময় বেঁধে দেন এবং বলে দেন যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমি উদ্ধার করতে না পারলে ডিএসইপিএল বর্ণিত এলাকায় আর জমি ক্রয় করবেন না এবং প্রকল্পটি অন্য এলাকায় সরিয়ে নেবেন। একথা জানতে পেরে এলাকার যেসকল লোক প্রকল্পের জমিগুলো জোরপূর্বক দখল করে আছে এবং চাচ্ছেন না প্রকল্পটি এখানে হোক, তারা প্রকল্প এলাকায় সন্ত্রাসী এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কাজের মতো অপ-তৎপরতা জোরদার করে।”
প্রতিবাদ লিপিতে আরও বলা হয়, “জমি উদ্ধারে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাধার সৃষ্টি করে। বিপুল অংকের চাঁদা দাবিসহ স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমাদেরকে শায়েস্তা করার হুমকি প্রদান করে। ইতিমধ্যে তারা প্রকল্প এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ কাঁটাতার চুরি করায় মামলা রজ্জু করা হয়। ক্রয়কৃত জমি ঘিরে রাখার খুঁটিগুলো রাতের অন্ধকারে ভেঙে ফেলায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়।”
বর্ণিত জমিগুলো চরাঞ্চলের বালিময় ‘অকৃষি জমি’ এবং বর্ষা মৌসুমে ‘৪/৫ মাসের বেশি সময় ৪-৫ ফুট পানির নিচে ডুবে থাকে’ বলে প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদকের বক্তব্য
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনসহ স্থানীয় আরও কয়েকজনের সহায়তায় ফসলি জমি ‘অকৃষি’ দেখিয়ে জোরপূর্বক দখলে নিতে শুরু করে একটি চক্র।
এছাড়া, জাল দলিল তৈরি করে শতাধিক কৃষকের জমি ‘ভুয়া’ মালিকেরা বিক্রি করেছে বলেও কৃষকদের অভিযোগ।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ‘প্যারামাউন্ট গ্রুপ’-এর আইনি পরামর্শক অ্যাডভোকেট হরিপদ দেবের বক্তব্য প্রকাশিত সংবাদে যুক্ত করা হয়েছিল।
একই সঙ্গে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের বক্তব্যও প্রকাশ করা হয়।