ক্যাটাগরি

মিষ্টি কুমড়া দিয়েও ‘বেগুনি’ হয়: শেখ হাসিনা

তিনি বলেছেন, চাহিদা বাড়ায় বেগুনের দাম বাড়ছে বলে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে
‘বেগুনি’
তৈরি করা যায়।  

বুধবার জাতীয় সংসদের সপ্তদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং বিভিন্ন পণ্যের বাজার দর নিয়ে কথা বলেন সরকার প্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, “বেগুনের দাম… এই
রোজার সময় সবাই বেগুনি খাবে। হঠাৎ ১১০ টাকার ওপরে বেগুন হয়ে গেল। সেটা এখন কমে ৮০
টাকায় এসেছে।

“বেগুন দিয়ে বেগুনি না খেয়ে আরও যে সবজি সহজলভ্য
আছে, সেটা দিয়ে খেলেই হয়। আমরা তাই খাই। মিষ্টি কুমড়া দিয়েও বেগুনি বানানো যায়।
সেভাবে আমরা করি, সেভাবে করা যায়।”

নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে আগের দিন বিরোধী সংসদ সদস্যদের তোপের
মুখে পড়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, বাজার পরিস্থিতি সহনীয় রাখতে সরকার
সচেষ্ট।

দিনের বাজার দর তুলে ধরে তিনি বলেন, “মোটা
চালের দাম এখন ৪৬ টাকার মতো আছে। সেটা কিন্তু খুব বেশি একটা বাড়েনি। চিকন চাল বা
মাঝারি চাল কিছুটা বেড়েছে।”

পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আলু ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এবং খুচরা
বাজারে তা ২৫ টাকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বরং
এখন আলু আর পেঁয়াজের দামের জন্য কৃষক হাহাকার করে, সেটা হল বাস্তবতা।”

এছাড়া রসুন পাইকারিতে ২৫ টাকা, খুচরায় ৪০ টাকা এবং মফস্বলে ৩০ টাকায়
বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি
আজকের কথা বলছি। কারওয়ান বাজারে যান সেই কারওয়ান বাজারের হিসাব এখানে বলা হচ্ছে।”

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও
জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এক
ডলারের তেল সেখানে চার ডলার হয়ে গেছে, আমেরিকার মতো জায়গায়।

“আমাদের এখানে তো জিনিসের দামে তার ধাক্কা আসবে।
কারণ এখানে যে জিনিস আমদানি করতে হয়। জাহাজের ভাড়া অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। এগুলোর তো
একটা অবস্থা আসবেই। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি।”

এসময় মহামারীর মধ্যে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে প্রণোদনা দেওয়ার কথা
সংসদে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

‘জয় বাংলা’
স্লোগান দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে সেই
অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলেও সংসদে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আজকে সব থেকে বড় কথা
হল এই পার্লামেন্টে আজকে জয় বাংলা… যেই
জয় বাংলা হারিয়ে গিয়েছিল যে জয় বাংলাকে মুছতে চেয়েছিল। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে
আমরা সেই জয় বাংলাকে আবার ফেরত পেয়েছি।

“এই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের
পথে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে সেই অগ্রযাত্রা ইনশাল্লাহ অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হবে।”