উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নর্দান
ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) বুধবার জানিয়েছে, বিদ্যুতের এই
ঘাটতির ফলে লোডশেডিং বেড়েছে।
সন্ধ্যার পর প্রতিটি এলাকায় কয়েকবার লোডশেডিং হচ্ছে।
রমজান মাস ও তীব্র গরমের এই লোডশেডিংয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
নেসকোর রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৯৮ মেগাওয়াট। এই চাহিদার
বিপরীতে বিদ্যুতের সরবরাহ মাত্র ৬৩ মেগাওয়াট। মহানগরীতে বিদ্যুতের চাহিদা সবচেয়ে
বেশি।“
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মধ্যে
বগুড়ায় চাহিদা সবচাইতে বেশি। বিভাগের মোট ৪৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে
সরবরাহ মিলেছে ৩৯০ মেগাওয়াট।
চলতি মৌসুমে সরবরাহের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা
বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজশাহীতে লোড ম্যানেজম্যান্ট করতে হচ্ছে বলেও জানান আবদুর রশিদ।
গরমের জন্য বাড়িতে এসি চলছে। সন্ধ্যায় পর তারাবিসহ
নামাজের জন্য মসজিদগুলোতেও চালানো হচ্ছে এসি। এদিকে খরা মৌসুম হওয়ায় সেচ কাজেও
বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে।
তাছাড়া সন্ধ্যার পর হাজার হাজার ব্যাটারিচালিত
অটোরিকশা চার্জে বসানো হয়। এসব কারণে বিদ্যুতের ঘাটতি বর্তমানে বেড়েছে বলে নেসকো
জানিয়েছে।
রাজশাহী নগরের ভদ্রা এলাকার বাসিন্দা কুলসুম বেগম বলেন,
“রোজা শুরুর পর হঠাৎ করেই বিদ্যুতের সমস্যা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন তিন থেকে চারবার
বিদ্যুৎ থাকছে না। একবার বিদ্যুৎ গেলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা আসছে না। বিশেষ করে
সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।
একই অভিযোগ কাদিরগঞ্জ এলাকার এক সরকারি
কর্মকর্তার। তবে তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি।
তিনি বলেন, “কয়েকদিন থেকে প্রতিদিন ইফতারের পর
প্রায় এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। এটা যন্ত্রণাদায়ক। একইভাবে ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে
তিনবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।”