দনবাস থেকে পালানোর চেষ্টায় থাকা মানুষজন দিনের পর দিন উত্তরের ক্রামাতোরস্ক কেন্দ্রীয় স্টেশনে ভিড় জমাচ্ছে। অনেকেই পেছনে ফেলে যাওয়া প্রিয়জনদের বিদায় জানাচ্ছেন।
ওদিকে, পূর্বাঞ্চলের লুহান্সক অঞ্চল থেকে মানুষজনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে ইউক্রেইন কর্তৃপক্ষ। রুশ বাহিনী পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেইনের নগরীগুলোতে অবিরাম বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে।
তাছাড়া, অন্যান্য অনেক জায়গার নিশানায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী খারকিভে রাতভর তুমুল গোলাবর্ষণ হয়েছে। লুহান্সক এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলেও আরও গোলা হামলা হচ্ছে।
সামনের দিনগুলোতে সেখানে লড়াই আরও জোরদার হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইউক্রেইনের শসস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মতে, রাশিয়া ইউক্রেইনের সেনা অবস্থানগুলোসহ পূর্বাঞ্চলের লুহান্সক এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলের বরিভস্ক, নোভোলুহান্সকে, সোলোদকে, মারিঙ্কা ও জোলোটা নিভার বেসামরিক অবকাঠামোকে হামলার নিশানা করেছে।
রুশ বাহিনী পুরো দনবাস নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য ইউক্রেইন বাহিনীকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে। দোনেৎস্ক এবং লুহান্সক নিয়ে এই অঞ্চল গঠিত।
ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভের কাছে লড়াইয়ে সুবিধা করে উঠতে না পেরে রুশ বাহিনী এখন পূর্ব ইউক্রেইনে মনোনিবেশ করেছে। দনবাসে রাশিয়ার এই অভিযান দীর্ঘ সংঘাতে রূপ নিতে পারে।
ইউক্রেইনে যুদ্ধ শুরুর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্বাঞ্চলীয় দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এখন পূর্বের এই বড় দুই অঞ্চল রাশিয়া দখল করে নিতে পারলে ইউক্রেইন যুদ্ধে কিছু সাফল্য মিলবে পুতিনের।
অঞ্চল দুটি দখলের পরই রাশিয়ার কাজ হবে দনবাসকে নিজেদের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেওয়া, যেমনটি তারা করেছিল ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখলের সময়।