সদর দপ্তর বলছে, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ বা তথ্য ছাড়া মহাসড়ক অথবা সড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী কোনো গাড়ি থামানো যাবে না।
সোমবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী সড়কে পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার কথা জানানোর পরদিনই এমন নির্দেশনা এল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির প্রথম সভা শেষে টিপু মুনশি সড়কে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গে বলেন, “তিনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছে। সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কোথায় কোথায় চাঁদাবাজি হয়- সে বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।”
মঙ্গলবার পুলিশ সদরদপ্তরে ফেব্রুয়ারির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন অতিরিক্ত আইজি এম খুরশীদ হোসেন।
বৈঠক শেষে পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়। সভায় সব মহানগর কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা যুক্ত ছিলেন।
অতিরিক্ত আইজি যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় এআইজি মো. জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ফেব্রুয়ারি মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
দস্যুতা, খুন, দ্রুত বিচার, দাঙ্গা, অপহরণ, পুলিশ আক্রান্ত, সিঁধেল চুরি ও চুরি সংক্রান্ত মামলা জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে কমেছে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।
তবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা কিছুটা বেড়েছে। আর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় অনেক কমেছে বলে সভায় জানানো হয়।
অতিরিক্ত আইজি খুরশীদ রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে শপিং মল, মার্কেটের নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সভায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার বা গুজব ছড়িয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারেও তৎপর থাকতে ইউনিট প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করে জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।