বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে
১০৭ বলে ১২৯ রান করেন হিলি। ফাইনালে খেলেন ১৩৮ বলে ১৭০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ছেলে-মেয়ে
মিলিয়েই ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের সর্বোচ্চ ইনিংস এটি। ছেলে-মেয়ে মিলিয়েই প্রথমবার
একই বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে সেঞ্চুরি করলেন কেউ।
সব মিলিয়ে মেয়েদের বিশ্বকাপের রেকর্ড ৫০৯ রান নিয়ে
আসর শেষ করেন হিলি। ফাইনালের ম্যাচ সেরার সঙ্গে জিতে নেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও।
এই দুই ইনিংস তাকে আবার নিয়ে যায় এক নম্বরের উচ্চতায়।
হিলিকে টপকে শীর্ষে উঠেছিলেন যিনি, সেই লরা উলভার্ট
সেমি-ফাইনালে শূন্য রানে আউট হয়ে নেমে গেছেন চারে।
ফাইনালে দল হারলেও ১৪৮ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার
দিয়ে ইংলিশ ব্যাটার ন্যাট সিভার উঠেছেন দুই নম্বরে। সেমি-ফাইনালে আগ্রাসী ৪৩ ও ফাইনালে
ঝড়ো ফিফটি করে অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনি জায়গা করে নিয়েছেন তিনে।
এছাড়াও পাঁচে আছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মেগ ল্যানিং,
ছয়ে অস্ট্রেলিয়ারই র্যাচেল হেইন্স।
ফাইনালে খরুচে বোলিং করলেও বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে
শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন সোফি এক্লেস্টোন। সেমি-ফাইনালে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন ইংলিশ
এই বাঁহাতি স্পিনার। ২১ উইকেট নিয়ে এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও তিনি।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি দক্ষিণ আফ্রিকার শাবনিম ইসমাইল র্যাঙ্কিংয়েও
উঠে এসেছেন দুইয়ে।
বড় একটি পরিবর্তন আছে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যালিস পেরিকে টপকে শীর্ষে উঠেছেন ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার। চোটের কারণে
বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলতে পারেননি পেরি, ফাইনালেও খেলেন স্রেফ ব্যাটার হিসেবে।