প্রতীকী ছবি
কাবেরী
রানী সরকার (৩২) নামে ওই নার্স হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে তার ভাই অভিযোগ
করেছেন। তবে তার মৃত্যুর কারণ এখনই নিশ্চিত করতে পারছে না পুলিশ।
স্যার
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিনিয়র নার্স কাবেরী আজিমপুর দক্ষিণ কলোনির
৩০ নম্বর ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তার স্বামী রুপম চৌধুরীকে নিয়ে।
বুধবার
সকাল সাড়ে ১০টায় সেই বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন লালবাগ থানার এসআই
অজয় কৃষ্ণ।
তিনি
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে তারা গিয়ে
ঘরের একটি বিছানা থেকে লাশটি উদ্ধার করেন।
মৃত্যুর
কারণ জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “এর আগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বা কোনো উপায় তার
মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
পুলিশ
লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
খবর
পেয়ে মর্গে উপস্থিত হন কাবেরীর ছোট ভাই রাজিব কুমার সরকার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন,
ভগ্নিপতি রুপম তার বোনকে হত্যা করে পালিয়েছে।
মঙ্গলবার
রাতে রুপম বাসায় গিয়েছিলেন জানিয়ে রাজীব বলেন, রুপম পালানোর সময় ঘর থেকে গয়না ও
নগদ টাকা নিয়ে গেছে।
সন্দেহের
কারণের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার
বোনের সাথে প্রতারণা করে কেরানীগঞ্জে তার (কাবেরীর) নামের ফ্ল্যাট বিক্রি করে এই
রুপম চৌধুরী ৩৫ লাখ টাকা নিয়েছে। শুধু তাই নয় এ পর্যন্ত ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা
আমার বোনের কাছ থেকে নিয়েছে।”
নয়
মাস আগে কাবেরীর সঙ্গে রুপমের বিয়ে হয়। তার কয়েকমাস আগে ফেইসবুকের মাধ্যমে রুপমের
সঙ্গে কাবেরীর পরিচয় ঘটে বলে জানান রাজীব।
কাবেরীর
আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। তার সেই স্বামীর নাম রিপন হাওলাদার। তাদের ১১ বছরের এক
মেয়ে এবং ৬ বছরের এক ছেলে রয়েছে।
রুপমের
সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই রিপনের সঙ্গে কাবেরীর বিচ্ছেদ ঘটে বলে তার স্বজনদের সূত্রে
জানা গেছে।
রুপম
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা। তিনি সেখানেই থাকতেন। মাঝে মধ্যে ঢাকায়
স্ত্রীর কাছে এসে থাকতেন বলে জানিয়েছে কাবেরীর পরিবার।
কাবেরী
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার স্বপন চন্দ্র সরকারের মেয়ে। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে
কাবেরী ছিল দ্বিতীয়।