ক্যাটাগরি

ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারণী রায় হতে পারে বৃহস্পতিবার

গত রোববার নাটকীয় পরিস্থিতিতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ডেপুটি স্পিকার খারিজ করে দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরানের প্রস্তাব মেনে নিয়ে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্তের কথা জানান।

আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন হওয়ার কথা পাকিস্তানে। কিন্তু হার মানতে নারাজ বিরোধীরা রোববারেই সুপ্রিম কোর্টে গেছে।

পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া এবং অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের পদক্ষেপ সাংবিধানিক কিনা সে প্রশ্নে যেসব পিটিশন দাখিল হয়েছে, তার শুনানি সোমবার শুরু হওয়ার পর তা মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্থগিত করেছিল আদালত।

পাকিস্তানে অনাস্থা প্রস্তাব: শুনানি দ্রুত শেষ করতে চান প্রধান বিচারপতি
 

এরপর মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিষয়টি নিয়ে শুনানি হলেও রায় ঘোষণা হয়নি। শুনানি আরেক দফায় বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করে আদালত। মঙ্গলবারের শুনানিতে বিরোধী পক্ষের আইনি যুক্তিতর্ক শেষে আদালত মুলতবি করা হয়।

বুধবারের শুনানিতে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) এর আইনজীবীরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে কথা বলেছেন। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির আইনজীবী আলি জাফর বলেন, পার্লামেন্টের প্রক্রিয়ায় আদালতের জড়িত হওয়া উচিত নয়।

এ প্রসঙ্গে সংবিধানের কথা উল্লেখ করে জাফর বলেন, “সেখানে (সংবিধান) স্পষ্টভাবেই উল্লেখ আছে, পার্লামেন্ট বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। একইভাবে আদালতও পার্লামেন্টের কার্যক্রম এবং অভ্যন্তরীন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না।”

তাই আদালত পার্লামেন্টের বিষয়গুলো দেখাশুনা করতে শুরু করলে এর কোনও শেষ থাকবে না বলে বিচারকদেরকে সতর্ক করে দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধান বিচারপতি আতা বান্দিয়াল বুধবার শুনানি শেষে বলেছেন, “মামলা শেষ করার জন্য আগামীকাল সকাল সকালই আদালত শুরু করা হোক।”