মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আমজাদ হোসেনের আদালতে সোমবার তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে তা নাকচ হয়ে যায়।
তিন সপ্তাহ আগে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হৃদয় কৃষ্ণ মণ্ডল বিজ্ঞান পড়ানোর সময় প্রসঙ্গক্রমে ধর্ম নিয়ে কথা বলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওইদিনই হৃদয় মণ্ডলকে আটক করা হয়। দুদিন পর এ ঘটনায় মামলা হলে তাকে সেই মমালায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ঘটনার পর হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান শরীফ জানিয়েছেন।
মামলার বরাতে মনিরুজ্জামান জানান, গত ২০ মার্চ দশম শ্রেণির পঞ্চম ঘণ্টায় সাধারণ বিজ্ঞানের ক্লাস ছিল। মানবিক ও বাণিজ্য শাখার ক্লাসটি নিচ্ছিলেন শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল।
“সেদিন হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল ওই ক্লাসে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করেন, যা কয়েকজন শিক্ষার্থী রেকর্ড করে।”
তিনি জানান, পরে ধর্ম নিয়ে ‘আপত্তিকর’ কথা বলার অভিযোগ তুলে কিছু শিক্ষার্থী এলাকায় হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। ওই অবস্থায় এই শিক্ষককে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। পরে মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ঘটনার দুদিন পর [২২ মার্চ] ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী (ইলেক্ট্রশিয়ান) মো. আসাদ বাদী হয়ে হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরদিন [২৩ মার্চ] তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ওসি আরও জানান, এরপর গত ২৮ মার্চ মুন্সীগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে প্রথমে তার জামিন আবেদন করা হলে তা নাকচ হয়ে যায়। এরপর সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবার জামিনের আবেদন করা হয় এবং তাও নাকচ হয়।
এ আদালত আগামী ১০ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে বলে জানান ওসি।