বুধবার স্থানীয় সময় দুপরে ৫ বিচারকের বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হলে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে ডন।
প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই বেঞ্চে আর যে বিচারপতিরা আছেন, তারা হলেন- ইজাজুল আহসান, মোহাম্মদ আলী মাজহার, মুনিব আখতার ও জামাল খান মান্দোখাইল।
বুধবার শুনানির শুরুতে আদালতকক্ষে সরকার ও বিরোধীদলের বিপুল সংখ্যক রাজনীতিকের উপস্থিতি দেখা গেছে।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধী দলগুলোর জোট বেঁধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পতন যখন অত্যাসন্ন, তখন রোববার নাটকীয় এক পদক্ষেপ নিয়ে অসম্মানজনক বিদায় এড়ান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধান।
প্রথমে জাতীয় পরিষদে আনা অনাস্থা প্রস্তাব ‘সংবিধানসম্মত নয়’ উল্লেখ করে তা বাতিল করে দেন অধিবেশন পরিচালনাকারী ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। এরপর প্রধানমন্ত্রী ইমরানের প্রস্তাবে জাতীয় পরিষদ বা পার্লামেন্ট ভেঙে দেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে পাকিস্তানে নির্বাচন হতে হবে এবং তা হবে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে নিজেদের মনোনীতদের নাম দেবেন ইমরান খান ও বিরোধীদলীয় নেতা।
কিন্তু পার্লামেন্টে আনা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করার ক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকার সুরি যে সাংবিধানিক যুক্তি দেখিয়েছেন, তা আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতি এখন সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।
শুনানি শেষ হলে বুধবারই সর্বোচ্চ আদালত তার রায় জানাতে পারে। দ্রুত এ সিদ্ধান্ত দেওয়ার ব্যাপারে চাপ থাকার কথা বুধবার প্রধান বিচারপতি বান্ডিয়াল নিজেও স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্টে ইমরানের ভাগ্য নির্ধারণ ফের পেছাল
‘অবাধ্য’ ইমরান খানকে শাস্তি দিতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: রাশিয়া
পাকিস্তানে অনাস্থা প্রস্তাব: পার্লামেন্টের কার্যবিবরণী চাইল সুপ্রিম কোর্ট
তিন মাসেও পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন সম্ভব নয়: নির্বাচন কমিশন