রাশিয়া কিইভ ও আশপাশের এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর বুচায় রুশ নির্মমতার
চিত্র উন্মোচিত হতে থাকে, যাকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা
করে এর শাস্তি দাবি করেছেন।
তবে বুচায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি বলে দাবি করে ইউক্রেইনের
অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের তত্ত্বাবধানে শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার ব্যাংক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এবং রাশিয়ায় নতুন বিনিয়োগের
ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার কয়লা ও ইইউর বন্দরে রুশ জাহাজগুলোর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। ইইউর নির্বাহী উরসুলা ভন ডের লিয়েন বলেছেন, তারা রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্যও কাজ করছেন।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীও জানিয়েছেন, কয়লার ওপর নিষেধাজ্ঞা হবে রাশিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রথম পদক্ষেপ।
ইউক্রেইন বলছে, রাশিয়ার গ্যাসে নিষেধাজ্ঞা আরোপ শান্তি আলোচনায় একটি চুক্তিতে পৌঁছানো ও যুদ্ধের সমাপ্তি টানার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আবেগপূর্ণ ভাষণের
পর জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা
আরোপের সময় অবশ্যই দখলদার বাহিনীর যুদ্ধাপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় হতে হবে।
এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, “এরপরেও যদি রাশিয়ার ব্যাংকগুলো নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যায়, যদি রাশিয়ার পণ্য প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে, যদি ইইউ দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানির মূল্য শোধ করে, সেক্ষেত্রে হয়তো অনেক নেতার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ একই রকম নাও থাকতে পারে।”
নিউ জিল্যান্ড জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করছে তারা এবং রাশিয়ার কৌশলগত শিল্পখাতগুলোতে শিল্প পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার আওতাও বাড়ানো হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে নিউ জিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা বুচা হত্যাকাণ্ডের জন্য পুতিনকে দায়ী করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার কথা জানান।
মঙ্গলবার পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউক্রেইনকে সহায়তা হিসেবে আরও ১০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠাচ্ছে তারা, যার মধ্যে আছে জ্যাভেলিন অ্যান্টি-আরমার ব্যবস্থা।
এদিকে ইউক্রেইনের অবরুদ্ধ বন্দরনগরী মারিউপোলে মঙ্গলবার রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ডমিনিকার পতাকাবাহী একটি পণ্য পরিবহন জাহাজ ডুবে গেছে বলে দাবি করেছে কিইভ।
এ ব্যাপারে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য জানা যায়নি। ইউক্রেইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও দুই পক্ষের তুমুল লড়াই অব্যাহত আছে।