ক্যাটাগরি

শৃঙ্খলা ভঙ্গ, শওকত মাহমুদকে বিএনপির ‘শোকজ’

গত ২৭ মার্চ জাতীয়
প্রেস ক্লাবে ‘পেশাজীবী সমাজ’ ব্যানারে এক সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে এই নোটিস দেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সাল থেকে বিএনপিতে
ভাইস চেয়ারম্যানের পদে থাকা শওকত মাহমুদ বিএনপির সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী
পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক।

রিজভী বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উনার কাছে কিছু বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া
হয়েছে। সম্প্রতি উনার কিছু কর্মকাণ্ড ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা দলের
শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল।

“সম্প্রতি পেশাজীবী পরিষদের ব্যানারে একটি সমাবেশ হয়েছে। সেই
কর্মসূচিতে উনি ছিলেন। এই ধরনের কর্মসূচি সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। এসব বিষয়ে
আগামী ৫ দিনের মধ্যে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।”

বার্তা বাহকের মাধ্যমে শওকত
মাহমুদের কাছে চিঠি পৌঁছানো হয়েছে বলে জানান রিজভী।

এ বিষয়ে শওকত মাহমুদের
কোনো বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।

দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি
রোধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ২৭
মার্চের ওই সমাবেশে শওকত মাহমুদ সভাপতিত্ব করেছিলেন।

সেই সমাবেশে
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন ২০ দলীয় জোটের শরিক
লেবার পার্টি, জাগপা ও এনডিপির নেতারা।

শওকত মাহমুদকে এর আগে
২০১৯ সালে ১৩ ডিসেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছিল। তখনও
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে একটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ওই নোটিস দেওয়া হয় তাকে
এবং আরেক ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে। তবে তারা জবাব দেওয়ার পর তা মিটে
গিয়েছিল।

সাংবাদিক শওকত মাহমুদ বিএনপি
সমর্থিত ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি।

হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদকে বিএনপির ‘শোকজ’