ক্যাটাগরি

সোহেল চৌধুরী-দিতির সন্তানরা কে কোথায়

সোহেল-দিতির ছেলে শাফায়েত চৌধুরী কানাডার রিয়ারসন ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা
শেষ করে নেদাল্যান্ডসের আমস্টারডামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বিপণন প্রতিষ্ঠানে চাকরি
করছেন।

গত বছরের মাঝামাঝির দিকে নেদাল্যান্ডসের এক তরুণীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে
স্থায়ীভাবে আমস্টারডামে বসবাস করছেন শাফায়েত।

২০১৬ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দিতির মৃত্যু হয়; এর আগে ১৯৯৮ সালে
বনানীর এক ক্লাবের সামনে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন সোহেল চৌধুরী।

বাবার মৃত্যুর দুই যুগ পেরোলেও এখনও বিচার পাননি তারা; এর মধ্যে মঙ্গলবার
সোহেল চৌধুরী হত্যামামলার মূল আসামির একজন আশীষ রায় চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

এরপর যোগাযোগ করা হলে সোহেলকন্যা লামিয়া চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আপাতত কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না আমরা।”

বাবা-মায়ের জন্মদিন কিংবা মৃত্যুদিবসে তাদের স্মরণ করে সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে পুরানো ছবি পোস্ট করে স্মৃতিচারণ করেন শাফায়েত ও লামিয়া।

৩১ মার্চ দিতির জন্মদিনে তার কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লামিয়া লিখেছেন, “তোমাকে
মিস করি মা।”

কানাডার টরন্টো ফিল্ম স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় এসে নির্মাণে মনোযোগী
হয়েছিলেন লামিয়া। দিতির মৃত্যুর পর ২০১৬ সালে তার ইচ্ছা অনুযায়ী ‘দুই পুতুল’ শিরোনামে
একটি নাটক নির্মাণ করেছেন লামিয়া; পরে আর নিয়মিত দেখা যায়নি তাকে।

তিনি ঢাকায় বাস করছেন; ফেইসবুকে একটি পেইজ খুলে ফাস্টফুড সরবরাহ কার্যক্রম
দেখভাল করছেন তিনি।

গত শতকের ৮০ এর দশকে এফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাকার
চলচ্চিত্র খুঁজে পেয়েছিল দিতি ও সোহেল চৌধুরীকে। চলচ্চিত্রে জুটি বেঁধে অভিনয়ের পর
জীবনেও জুটি বাঁধেন তারা।

এরপর একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে দিতি ঢালিউডে তার আসন পাকাপোক্ত করলেও
সোহেল হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে অকালেই হারিয়ে যান।

সোহেল চৌধুরীর মৃত্যুর অনেক দিন পর দিতি বিয়ে করেছিলেন আরেক চলচ্চিত্র
তারকা ইলিয়াস কাঞ্চনকে। তবে সেই বিয়ে বেশি দিন টেকেনি।