ইয়েমেনে সাত বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ অবসানে থমকে থাকা শান্তি আলোচনা নতুন করে শুরু করার জাতিসংঘ-নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টার সহায়ক হিসাবে সৌদি আরবের সমর্থনে হাদি এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তিনি জানান, ৮ সদস্যের এই প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেবেন সাবেক মন্ত্রী রাশাদ আল-আলিমি।
বৃহস্পতিবার হাদির এই ঘোষণার পর সৌদি সমর্থিত ইয়েমেন সরকারের জন্য তিনশ’ কোটি ডলার আর্থিক সহযোগিতা ঘোষণা করেছে রিয়াদ। একইসঙ্গে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনারও তাগিদ দিয়েছে সৌদি আরব।
২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িত পক্ষগুলোর সম্মতিতে গত শনিবার থেকে দুই মাসের যুদ্ধ বিরতি শুরু হয়েছে। এর পাঁচদিন পর হাদি ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিলেন।
এক টেলিভিশন ভাষণে মনসুর হাদি বলেন, “আমি অপরিবর্তনীয়ভাবে সংবিধান, উপসাগরীয় উদ্যোগ এবং তাদের নির্বাহী ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমার পূর্ণ ক্ষমতা প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের কাছে হস্তান্তর করছি।”
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সময়টিতে এই কাউন্সিল ইয়েমেনের রাজনৈতিক, সামরিক এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় সামাল দেবে। গোটা ইয়েমেনে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছার জন্য এবং চূড়ান্ত একটি রাজনৈতিক সমাধানের জন্য এই কাউন্সিল হুতিদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসবে।”
ইয়েমেনের লড়াইয়ের শুরুটা হয়েছিল আরব বসন্ত দিয়ে। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহ তার ডেপুটি মনসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন।
হুতি বিদ্রোহী আর নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহের অনুগত ছিল। তারা গোটা দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে। তাদের পেছনে ইরানের সমর্থন আছে বলে ধারণা করা হয়। হাদি তখন দেশের বাইরে পালিয়ে যান।
হাদিকে ইয়েমেনে পুনরায় ক্ষমতায় বসাতে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে। লড়াই দু’পক্ষকেই পর্যুদস্ত করেছে। একটি যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের তিনটি সংস্থার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে।
উপসাগরীয় দেশগুলোর ক্ষমতা হস্তান্তর পরিকল্পনার আওতায় হাদি এক দশক আগে ইয়েমেনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।