বাংলাদেশের ব্যাটিং ধস বা বড় হার ছাপিয়ে ডারবান টেস্ট শেষে আলোচনার খোরাক জন্ম দেয় মুমিনুল হকের মন্তব্য। বাংলাদেশ অধিনায়ক বাজে আচরণের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করান দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের।
“স্লেজিং তো হয় মাঠে। স্লেজিং হবে, এটা স্বাভাবিক। স্লেজিং যদি মাঝেমাঝে অ্যাবিউসের কাছে চলে যায়, তখন এটা খুব খারাপ। আমার কাছে মনে হয়, ওরা অ্যাবিউস করছিল, খুব বাজেভাবে। যেটা আম্পায়ারও জিনিসগুলো আমার কাছে মনে হয়… ওইভাবে ওদের নোটিশ করেনি।”
বাংলাদেশ অধিনায়কর সেই অভিযোগ নিয়ে এলগারের প্রতিক্রিয়া জানা গেল দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগের দিন। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের দাবি, তারা কেবল বাংলাদেশের স্লেজিংয়ের জবাবই দিচ্ছিলেন।
“আমার মনে হয় না, তাদের কথার ভিত্তি আছে। আমরা লড়াকু ক্রিকেট খেলি। যদি কিছু হয়েও থাকে, আমরা স্রেফ ওদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম, যা আমরা নিজেরা ব্যাটিংয়ে নেমে পেয়েছিলাম।”
“এটা টেস্ট ক্রিকেট। এই পর্যায়ে খেলা হয় পৌরষত্বের আবহে। আমিও লড়িয়ে ক্রিকেটই খেলি। নিশ্চিত করে বলছি, কোনোভাবেই আমরা বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের বাজে ভাষা ব্যবহার করিনি। কারণ, আমরা তাদের সম্মান করি। আমাদের সঙ্গে যা করেছে ওরা, সেটিই আমরা ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম শুধু। আমার মনে হয়, এই পর্যায়ে খেলতে হলে ওদেরকে আরও শক্ত হতে হবে, যেটায় ওরা হয়তো অভ্যস্ত নয়। আমাদের সঙ্গে যা করা হয়েছে, আমরা সেভাবেই ওদের ফিরিয়ে দিয়েছি।”
এলগারের মতে, স্লেজিংয়ের খেলায় হেরে বাংলাদেশ মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিল, যা দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের পথ গড়ে দেয়।
“হয়তো বাংলাদেশ মানসিকভাবে আটকে গেছে, যা দারুণভাবে আমাদের পক্ষে এসেছে। গেমম্যানশিপ থেকে এসব আসে। প্রতিপক্ষকে খাবি খাওয়াতে হবে, নাস্তানাবুদ ও চাতুর্যে পরাস্ত করতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটের সামগ্রিক আবেগ ও মানসিক ব্যাপারই এটা, লোকে যা কখনও কখনও ভুলে যায়। এরপর যদি স্কিল যোগ করে সবকিছু ঠিকঠাক করেন, সেটাই টেস্ট ক্রিকেট।”