বৃহস্পতিবার
বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাবি ছাত্রলীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ
থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কোনো চুনোপুটি যদি মনে করে তারা অনেক কিছু করে
ফেলেছে, তাদের ধারণা ভুল।
“ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মৌলবাদী গোষ্ঠীকে কখনই মেনে
নেবে না।”
ইসলামকে
শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যদি আপনারা মনে করেন ধর্মকে পুঁজি করে এগিয়ে যাবেন,সে
সুযোগ আমরা দেব না। শর্টকাট টেকনিকে বেহেস্তে যাওয়া যাবে না।
“যারা শর্টকাট টেকনিকে মানুষ মারে। মানুষকে মারার
কৌশল শিখিয়ে যারা মনে করে বেহেস্তে যাবে। তাদের বলতে চাই তোরা লুকিয়ে লুকিয়ে কেন নেতৃত্ব
দেস। সামনে এসে নেতৃত্ব দে, দেখি তোদের কত সাহস।”
সাধারণ
সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে কোনো ধর্মীয় রাজনীতি,
মৌলবাদী গোষ্ঠী বিগত দিনেও হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।”
বিভিন্ন
লেবাস ধারণ করে নানা ব্যানারে তারা ধর্মকে ব্যবহার করতে চায় দাবি করে তিনি বলেন, “ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোনো দিনই পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে
ব্যবহার করতে দেবে না।
“এই সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রশাসনসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
ছাত্রলীগের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ পরিষদ স্বীকৃত সংগঠনের বাইরেও ব্যাঙের ছাতার মতো
বিভিন্ন ধরনের সংগঠন গড়ে উঠছে।
“এদেরকে প্রকারান্তরে ছত্রছায়া দিচ্ছে ঢাবি প্রশাসন।
বারবার বলার পরেও এই মৌলবাদীদের প্রশাসন আস্কারা দিচ্ছে। প্রশাসনের এই ধরনের কর্মকাণ্ড
আমাদের হতাশ করেছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, “বর্তমানে
ধর্মান্ধ মৌলবাদী রাজনীতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
“আমরা কাবুলে ক্লাস করছি নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
ক্লাস করছি এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি। এসব মৌলবাদী গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক
পদক্ষেপ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্ব।”