অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল
বলেছেন, দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে এধরনের নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নিতেই এ পরিকল্পনা
নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয়
সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা
কমিটির এই বৈঠকে সেতু বিভাগের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবে পদ্মা
বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সার্ভিস
প্রোভাইডার হিসাবে ৬৯২ কোটি ৯২ লাখ টাকায় কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন ও চায়না
মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জয়েন ভেঞ্চারকে পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য
অনুযায়ী, পদ্মা সেতুর সড়ক অংশের নির্মাণ কাজের জন্য ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়
করা হয়েছে। এর বাইরে সেখানে রেলপথ নির্মাণে রয়েছে পৃথক বরাদ্দ।
পদ্মাসেতু পারাপারের জন্য টোলের
হার কী হবে- এই প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, “টোল
আদায় হবে এটা জানি। কিন্তু টোলের হার এখনও ঠিক হয়নি। হলে আপনারা জানতে পারবেন।
আমরা বলতে পারি, যে পরিমাণ টাকা এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে এবং শেষ দিন পর্যন্ত যে খরচ
হবে, সেটি আমাদের টোল থেকেই আদায় করতে হবে।
“পদ্মা সেতুতে আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি, সেটা
পূর্ণমাত্রায় টোলবাবদ আদায় করব। আমরা অন্যান্য প্রজেক্টগুলো থেকেও কিন্তু টোল
আদায় করছি, এখান (পদ্মা সেতু) থেকেও টোল আদায় হবে। শুধু টোল আদায় হবে না, আমরা
প্রফিটও করব। এ প্রজেক্টের জন্য আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি তার চেয়েও বেশি আমরা
অর্জন করব।”
এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “না হলে এগোনো যাবে না। আমাদের একটা প্রকল্প থেকে আরেকটা প্রকল্প
করতে হবে। একটা ব্রিজ থেকে আরেকটা ব্রিজ করতে হবে। সুতরাং এগুলো করার জন্য
রেভিনিউ দরকার হবে।
“তবে সবার জন্য লাভজনক অবস্থায় থাকবে। যারা
ব্যবহার করবে তারাও লাভজনক অবস্থায় থাকবে, সরকারও থাকবে।”
কত বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর ব্যয়
তুলতে চান- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রীবলেন, ‘আমরা
ডিটেইলে এখনও এটি নিয়ে কাজ করিনি। আমরা টোলের মাধ্যমেই আমাদের খরচ তুলে নিয়ে
আসবএবং সেখান থেকে কিছু লাভও করতে চাই। সেই লাভটা সরকারের ফান্ডে না নিয়ে আরো
নতুন প্রকল্প দাঁড় করানোর চেষ্টা করব।
পদ্মা সেতু চালু হতে দেরির প্রসঙ্গে
জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ বছরের শেষের দিকে হবে।
আমরা প্রত্যাশা করে আছি এ বছরের শেষ নাগাদ এটি চালু করতে পারব।”