বাংলাদেশের সফলতম টেস্ট ব্যাটসম্যানের জন্য প্রতিপক্ষ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা যেন কঠিনতম। একাধিক টেস্ট খেলেছেন এমন প্রতিপক্ষের মধ্যে প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই মুশফিকের গড় সবচেয়ে খারাপ, ২১.১২।
ডারবান টেস্টে তিনি ছিন্ন করতে পারেননি ব্যর্থতার জাল। বরং সেই ম্যাচে আরও বেশি হতাশ করেন দলকে। প্রথম ইনিংসে ৭ রানের পর দ্বিতীয়টিতে ফেরেন শূন্যতে।
ম্যাচ বাঁচাতে পঞ্চম দিন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তিনিই ফেরেন সবার আগে। সেই পারফরম্যান্সে কি তাকে নিয়ে একটু উদ্বিগ্ন মুমিনুল?
“উনাকে নিয়ে কোনো চিন্তাই করবেন না। উনি বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন, বিশ্ব ক্রিকেটেও। তিনটা ডাবল সেঞ্চুরি আছে উনার। উনাকে নিয়ে টেনশন করার কিছু নেই। আমি আশাবাদী, উনি খুব তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াবেন।”
২২০ রানে হেরে যাওয়া সেই ম্যাচ ব্যাট হাতে ভালো যায়নি মুমিনুলেরও। শূন্যর পর করেন ২। সব মিলিয়ে সবশেষ ১০ ইনিংসের সাতটিতেই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট শুরুর আগের দিন বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বললেন, তিনি কেবল রানে ফেরার কথাই ভাবছেন।
“আমি নিজেকে নিয়েও অত উদ্বিগ্ন না। আগের ম্যাচে কী হয়েছে না হয়েছে, তা নিয়ে অত চিন্তা করি না আমি। পরের ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করছি। কীভাবে রান করা যাবে চিন্তা করছি।”