অপহরণের শিকার আব্দুছ ছালাম পেশায়
একজন পোশাককর্মী, তার বাসা মিরপুরে। বুধবার
রাত আড়াইটার দিকে খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ থেকে তাকে উদ্ধার করে র্যাব-১ এর একটি দল।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. হারুন-অর-রশিদ (৪০),
মো. সোহেল হাওলাদার (২৮), মো. রবিউল সরদার (৩২), মো. জামাল শেখ (১৯), আব্দুল সাত্তার
(১৯) ও মো. আশিক (২০)।
বৃহস্পতিবার র্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা
হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছয়জন ‘অপরাধ স্বীকার করেছেন’। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা
নেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমেদ
বলেন, ওই চক্রের সদস্যরা নিজেদের ডিবি বা র্যাব পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ আশপাশের
এলাকায় এ তৎপরতা চালিয়ে আসছিল।
“শারীরিক নির্যাতন, বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে
অপহরণ করে বিপুল পরিমাণ মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল।”
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল আব্দুছ ছালামের
মিরপুরের বাসায় গিয়ে ৫ থেকে ৬ জনের একটি দল নিজেদের র্যাব পরিচয় দেয়। তারপর আব্দুছ
সালামকে মারধর করে একটি প্রাইভেটকারে তুলে বাড্ডার দিকে নিয়ে যায়।
গাড়িতে তোলার পরই তারা আব্দুছ সালামের কাছে ৫০ লাখ টাকা
মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ছালামকে চক্রের সদস্য হারুনের বাসায়
আটকে রেখে মারধর করা হয়।
এক পর্যায়ে ছালাম তার মেয়েকে মোবাইলে ফোন থেকে মুক্তিপণের
টাকা নিয়ে নিকুঞ্জ এলাকায় আসতে বলে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি জানালে তাকে মেরে
ফেলা হবে বলেও মেয়েকে সতর্ক করে দেন আব্দুছ সালাম।
মেয়ে এত টাকা দিতে পারবে না জানালে, পাঁচ লাখার বিনিময়ে
আব্দুছ সালামকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানায় অপহরণকারীরা।
পরে সালামের মেয়ে র্যাব-১ এর কাছে অভিযোগ করলে কৌশলে
ওই চক্রটিকে ধরা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা নোমান বলেন, “নিকুঞ্জের সড়ক থেকে
তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ওই স্থানে এসেছিল আব্দুছ ছালামের মেয়ের কাছ থেকে টাকাও
নেওয়ার জন্য। তখনও আব্দুছ ছালামকেও চক্রটি সঙ্গে নিয়ে এসেছিল।”