বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয়
সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের
অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের
অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত
বৈঠকে এ প্রস্তাব তুলেছিল। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সাবিক এগ্রি
নিউট্রিয়েন্টের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি করার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা
কমিটির সভায় ৩৩৯ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় সৌদি আরবের মাদেন কোম্পানির কাছ থেকে ৪০
হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার কেনার অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন।
এছাড়া বিসিআইসির তিনটি প্রস্তাবে
৭০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ক্রয় কমিটির বৈঠকে।
এর মধ্যে রয়েছে ডিএপি ফার্টিলাইজার
কোম্পানি লিমিটেডের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোম্পানি মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনালের
কাছ থেকে ৮২ কোটি ৯৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯৫০ টাকায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড কেনা
হবে।
কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি
লিমিটেডের (কাফকোর) কাছ থেকে ২৪১ কোটি ৯৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯৩৭ টাকায় কেনা হবে ৩০ হাজার
মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার।
আর কাতারের মুনতাজাতের কাছ
থেকে ১৪তম লটে ২৪৭ কোটি ১০ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার
কেনার অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী,
চলতি অর্থবছরে দেশে ৫৭ লাখ মেট্রিক টনের বেশি রাসায়নিক সারের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে
২৬ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া, সাড়ে সাত লাখ মেট্রিক টন টিএসপি, সাড়ে সাত লাখ মেট্রিক টন
এমওপি এবং সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন ডিএপি।
দেশের কিছু ইউরিয়া উৎপাদিত হলেও অন্যান্য সারের বেশিরভাগটাই আমদানি
করতে হয়। এর একটি অংশ আসত রাশিয়া থেকে।
ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে এখন সেখান থেকে সার পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ায়
স্বাভাবিকভাবেই সরকার অন্যান্য উৎস থেকে সার পাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এর মধ্যেও গত
৩ মার্চ রাশিয়া থেকে থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে সরকার।