হাসপাতালের প্রধান ডা. মো. আলফজল খান জানান, গত এক সপ্তাহে মোট ২৩’শ রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন; যা গত বছরের একই সময় দ্বিগুণের বেশি। এছাড়া প্রতিদিন গড়ে ৩০০ রোগী ভর্তি হচ্ছেন।
সরজমিনে দেখা গেছে, চাঁদপুর ছাড়া ও আশপাশের জেলা থেকে আসা বিভন্ন বয়সী রোগী ভর্তি আছেন এ হাসপাতালে। চাপ বেশি থাকায় শয্যা না পেয়ে মেঝে ও বারান্দা ঠাঁই নিতে হয়েছে অনেককে।
এদিকে রোগী আরও বাড়ার আশঙ্কায় বারান্দায় তাবু টানিয়ে প্রায় ৪ শতাধিক রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল প্রধান বলেন, “আবহাওয়া পরিবর্তন, পঁচা, বাঁশি, বাহিরের খাবার ও দূষিত পানি গ্রহণের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকেরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন ৫ জন ডাক্তার, ৬ জন সিনিয়র নার্স ও ২০ জন স্বাস্থ্য সহকারী চিকিৎসা-সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।”
আর ভর্তি হওয়া রোগীদের সুস্থ হয়ে উঠতে ২/৩ দিন সময় লাগছে। তাছাড়া চিকিৎসা-সেবা নিতে আসা কোনো রোগী মারা যায়নি বলে জানান আলফজল।
আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং পঁচা/বাশি খাবারের কারণে ডায়েরিয়ার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরা মনে করেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, গত কয়েকদিন যাবত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে তিনশ 0রোগী আসছে। এসব রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। বেড সংকটের কারণে বারান্দায় অনেক রোগীদের রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, “ভর্তি রোগীদের মধ্যে বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি। যাদের বয়স ২৫ থেকে ৭৫ বছর পর্যন্ত। যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তিনগুণ বেশি। গত বছরের তুলনায় এ বছর এসময়ে রোগী ভর্তি হয়েছে তার দ্বিগুণ।”
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামের নুসরাত জাহান বিথি বলেন, “এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান ভাল। ডাক্তাররা রোগীদের যত্নসহকারে সেবা দিচ্ছেন। তাছাড়া হাসপাতাল থেকে রোগীদের জন্য ওরস্যালাইন ও ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে।”
রহিমা খাতুন নামের আরেক রোহী বলেন, “পরিবারের বৃদ্ধ বাবা বেশ কয়েকদিন যাবত অসুস্থ। তাই দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত তার পাতলা পায়খানা হচ্ছিল এবং শরীরও বেশ দুর্বল ছিল। এখানে আনার পর এখন অবস্থা আগের তুলনায় ভাল।”