চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত আসরের সেমি-ফাইনালে চেলসির কাছে হেরেই ছিটকে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এই টুর্নামেন্ট মানে তাদের রাজত্ব। ওই হার তাই হজম করে নিতে পারেনি তারা। এবার কোয়ার্টার-ফাইনালে প্রতিপক্ষ সেই চেলসিই। সুযোগটা পেয়ে শোধ তোলার তাড়না ছিল রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলারদের মধ্যে। সেটিরই প্রতিফলন পড়ল মাঠে।
গত আসরে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলের ব্যবধানে জিতেছিল চেলসি। এবার প্রথম লেগেই চেলসির মাঠে রিয়াল এগিয়ে গেল ৩-১ গোলে। দুর্দান্ত জয়ে সবকটি গোলই বেনজেমার।
ম্যাচের পর জয়ের নায়ক বেনজেমা বললেন, এমন দাপুটে জয়ই প্রত্যাশা করেছিলেন তারা।
“আজকে আমরা জিততে এসেছিলাম, দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলাম, আমরা রিয়াল মাদ্রিদ। সবকিছু দারুণভাবে হয়েছে আজ মাঠে। প্রথম মিনিট থেকে শেষ মিনিট পর্যন্ত আমরা ভালো খেলেছি।”
ম্যাচের ২১তম ও ২৪তম মিনিটে দারুণ দুটি হেডে গোল করেন বেনজেমা। ৪০তম মিনিটে চেলসি আশা জাগায় কাই হাভার্টজের গোলে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই চেলসি গোলকিপার এদুয়াঁ মঁদির ভুলে সুযোগ পেয়ে বেনজেমা পূর্ণ করেন তার হ্যাটট্রিক। সেই ব্যবধান শেষ পর্যন্ত ধরে রাখে রিয়াল।
শেষ গোলটি প্রতিপক্ষের উপহার হলেও বেনজেমাকে বেশি তৃপ্তি দিয়েছে সেই গোলই।
“এই গোলগুলি দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় গোলটি করতে পেরে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি, কারণ প্রথমার্থে একটি সুযোগ হাতছাড়া করেছিলাম এবং সেটি আমার মাথায় ঘুরঘুর করছিল। প্রতিটি গোলই গুরুত্বপূর্ণ। সুযোগ হাতছাড়া করে তাই ভাবছিলাম। এরপর আরেকটি গোল পেয়ে গেলাম, এখন আমি খুশি।”
প্রথমার্ধের শেষ দিকে বাঁ পাশ থেকে ভিনিসিউসের পাস ঠেকাতে গিয়ে পারেননি জর্জিনিয়ো, বল চলে যায় বেনজেমার পায়ে। বেনজেমাকে বাধা দেওয়ার তেমন কেউ ছিল না। কিন্তু কোনাকুনি শট নিতে গিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে বল বাইরে পাঠান তিনি। সেই সুযোগই পোড়াচ্ছিল তাকে। পরে হ্যাটট্রিক করে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে দেন দ্রুতই।
দুই দলের দ্বিতীয় লেগের লড়াই আগামী মঙ্গলবার।