৩ এপ্রিল পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলে ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি তা বাতিল করে দিয়েছিলেন। ডেপুটি স্পিকারের দেওয়া ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল প্রায় সাড়ে ৯টার দিকে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে বিচারপতিদের পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চে চতুর্থ দিনের মতো মামলাটির শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি পাশাপাশি এই বেঞ্চে আর যে বিচারপতিরা আছেন তারা হলেন- ইজাজুল আহসান, মোহাম্মদ আলী মাজহার, মুনিব আখতার ও জামাল খান মান্দোখেল।
প্রধান বিচারপতি বান্ডিয়াল বলেন, “আসল প্রশ্ন হল এরপর কী হবে।”
এখন কিভাবে এগোতে হবে পিএমএল-এন এর আইনজীবী ও পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল খালিদ জাভেদ খান আদালতকে তার নির্দেশনা দেবে বলে জানান তিনি।
“জাতীয় স্বার্থের দিকটি আমাদের দেখতে হবে,” বলেন তিনি। বৃহস্পতিবারই আদালত এ বিষয়ে একটি রায় দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সকালে বিচারপতি আখতার ও বিচারপতি মান্দোখেল ডেপুটি স্পিকারের আদেশ ও এরপর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়া নিয়ে হওয়া সুয়ো মোটো মামলাটির শুনানি শুরু করেছিলেন।
এ রায়কে সামনে রেখে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের সামনে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, টেলিভিশনের ফুটেজে এমনটি দেখা গেছে বলে ডন জানিয়েছে।