রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে অস্বীকার করেছে ভারত, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মিত্র দেশ এ নিষেধাজ্ঞার মিছিলে শামিল হয়েছে।
এশিয়ায় চীনের উত্থানের বিরুদ্ধে ভারতকে পাল্টা শক্তি হিসেবে দেখে যুক্তরাষ্ট্র; কিন্তু ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ভারত।
বুধবার হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক ব্রায়ান ডিজ বলেছেন, “ভারত সরকারের প্রতি আমাদের বার্তা হচ্ছে, রাশিয়ার দিকে আরও স্পষ্ট কৌশলগত জোটবদ্ধতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিণতি ও খেসারত উল্লেখযোগ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী হতে পারে।
“এই আক্রমণের (ইউক্রেইন) প্রেক্ষাপটে নিশ্চিতভাবে কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে আমরা চীন এবং ভারত, উভয়ের সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছি।”
গত সপ্তাহে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দালীপ সিংয়ের সরকারি সফরের পর এ সতর্কতা জানাল হোয়াইট হাউস, খবর বিবিসির।
চলতি সপ্তাহে সিং ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, “এই সফরে দালীপ তার ভারতীয় প্রতিপক্ষকে যে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন তা হল, রাশিয়ার জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্য আমদানি ত্বরান্বিত করা বা বাড়ানো ভারতের স্বার্থে এটি আমরা বিশ্বাস করি না।”
এর আগে মার্কিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছিলেন, ইউক্রেইনে মস্কোর হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেওয়া নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে যুক্তরাষ্ট্র যখন চাপ বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন ভারত যদি রাশিয়ার তেল আমদানির পরিমাণ বাড়ায় তাহলে তা নয়া দিল্লিকে ‘বড় ধরনের ঝুঁকির’ মুখে ঠেলে দিতে পারে।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেইনে হামলা শুরু করার পর নিষেধাজ্ঞার মুখে অন্য ক্রেতারা রুশ তেল কেনা থেকে পিছু হটে। কিন্তু বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ তেল আমদানিকারক ও ভোক্তা দেশ ভারতের খনিজ তেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো ব্যাপক মূল্য হ্রাসের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাৎক্ষণিক টেন্ডারের মাধ্যমে রাশিয়ার কাছ থেকে বাড়তি তেল কেনা শুরু করে।
ভারত গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাশিয়া থেকে অন্তত এক কোটি ৩০ লাখ ব্যারেল তেল কিনেছে; যেখানে পুরো ২০২১ সালে তারা রাশিয়া থেকে তেল কিনেছিল ১ কোটি ৬০ লাখ ব্যারেলেরও কম।