ক্যাটাগরি

রিলস নির্মাতাদের পাওনা কাটছে ইনস্টাগ্রাম

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রিলসের প্রতি
ভিউ থেকে নির্মাতাদের পাওনা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফাইন্যানশিয়াল
টাইমস; আর আয়ের জন্য ভিউয়ের লক্ষ্যমাত্রা গিয়ে ঠেকেছে কয়েক কোটিতে।

ইনস্টাগ্রাম ‘রিলস প্লে বোনাস প্রোগ্রাম’
চালু করেছিল ২০২২ সালের জুলাই মাসে। সে সময় ‘রিলস’ নির্মাতাদের জন্য আর্থিক তহবিল তৈরির
কথা বলেছিল ফেইসবুক।

রিলস তৈরির উদ্যোগটি সে সময় টিকটকের
ছোট ছোট ভিডিও নকল করতেই চালু হয়েছে এমন ব্যাখ্যা ভালোভাবেই চাউর হয়।

‘রিলস’-এর জন্য ছোট ভিডিও বানিয়ে নির্দিষ্ট
সংখ্যক ভিউয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারলেই ছয়শ ডলার থেকে ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত
আয়ের সুযোগ ছিল কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য।

তবে শুরু থেকেই প্রতি রিলসের জন্য আর্থিক
বরাদ্দের হার এবং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল নির্মাতাদের
মধ্যে। অন্যদিকে, ২০২২ সাল জুড়ে কনটেন্ট নির্মাতাদের পেছনে একশ কোটি ডলার খরচের প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিল ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা।

রিলস নির্মাতাদের বরাত দিয়ে ফাইন্যানশিয়াল
টাইমস জানিয়েছে, পাওনার হিসাব করার প্রক্রিয়ায় আকস্মিক পরিবর্তন আনলেও সে বিষয়ে কোনো
ব্যাখ্যা দেয়নি মেটা।

বাণিজ্য প্রকাশনাটিকে এক কনটেন্ট নির্মাতা
জানিয়েছেন, প্রথমে ৩৫ হাজার ডলার কামাইয়ের জন্য তার রিলস ভিউয়ের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ
কোটি ৮০ লাখ ডলার থাকলেও সেটি এখন বেড়ে ৩৫ কোটি ৯০ লাখ ভিউ হয়েছে।

‘রিলস বোনাস’ একযোগে ইনস্টাগ্রাম ও ফেইসবুকের
পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে নির্মাতাদের পাওনা নির্ধারণ প্রক্রিয়া পরিমার্জনের ফলে
পাওনার আকার ‘ওঠানামা করতে পারে’ বলে ফাইন্যানশিয়াল টাইমসকে ব্যাখ্যা দিয়েছে মেটা।

একই বিষয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ
মেটার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিক কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।

কনটেন্ট নির্মাতাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে
রাখতে একই ধরনের তহবিল গঠন করেছে বাজারে ইনস্টাগ্রামের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান টিকটক
ও স্ন্যাপচ্যাট। তবে, এমন তহবিলগুলোর সমালোচনাও করেছেন নির্মাতাদের অনেকে। বিজ্ঞাপনী
আয়ের তুলনায় এই প্রকল্পগুলো থেকে সম্ভাব্য আয়ের আকার কম ও অনিশ্চিত বলে অভিযোগ তাদের।

নির্মাতাদের টিকটক থেকে ইনস্টাগ্রামের
দিকে টানতেই প্রথম অবস্থায় ‘রিলস বোনাস প্রোগ্রাম’-এর ঘোষণা দিয়েছিল মেটা। সেই প্রকল্পের
পাওনার আকার কমিয়ে দিলে নির্মাতারা ইনস্টাগ্রামের পেছনে সময় দিতে আগ্রহ হারাতে পারেন
বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টিকটকের অপ্রত্যাশিত
সাফল্যে টনক নড়েছে পুরনো সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর। পুরনো ব্যবহারকারীদের ধরে
রাখতে এবং নতুনদের আকৃষ্ট করতে পরোক্ষভাবে টিকটকের দেখানো পথেই হাঁটছে প্রতিষ্ঠানগুলো।