জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বৃহস্পতিবার
দুপুরে শেরপুরের ‘গুচ্ছগ্রামে’ বসবাসকারী হিজরাদের এই অটোরিকশা দেওয়া হয়। একই সময় সদরের
ইউএনও হিজড়াদের কল্যাণে নগদ ১০ হাজার টাকাও দেন।
জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ জানান,
গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী হিজড়াদের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আয়মূলক কর্মকাণ্ডের
মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়নের জন্য তাদের ব্লক-বাটিক-সেলাই প্রশিক্ষণ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু
পালন, মাছচাষসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, অনুদান ও ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
“এবার সমাজকল্যাণ তহবিল থেকে একটি
ইজিবাইক প্রদান করা হয়েছে। আশা করছি, এর মাধ্যমে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের পথ সুগম হবে।”
পরে হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি
নিশি সরকারের হাতে অটোরিকিশাটির চাবি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক।
এ বিষয়ে নিশি সরকার বলেন, “আমরা আর
ভিক্ষাবৃত্তি, চাঁদাবাজি চাই না। নিজেরা উপার্জন করে, আয় করে সমাজে মাথা উঁচু করে মানুষের
মতো মানুষ হিসেবে বাঁচতে চাই।”
সরকারের গুচ্ছগ্রাম কর্মসূচি সেই
সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে বলে তিনি খুশি।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন নিজেরা
আয়বর্ধনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে উপার্জন করতে চেষ্টা করছি। জেলা প্রশাসন সব সময়
আমাদের সহযোগিতা করছে। এই ইজিবাইক আমরা নিজেরা চালাব, এতে আমাদের যা আয় হবে, তা দিয়ে
আমাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে চেষ্টা করব।”
হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নিশি
সরকারের হাতে ইজিবাইকটির চাবি হস্তান্তর করার সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফরিদা
ইয়াসমিন, সদরের ইউএনও মেহনাজ ফেরদৌসসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বছরের জুনে সরকারের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় শেরপুরের কামারিয়া ইউনিয়নেরর আন্ধারিয়া সুতিরপাড়ে দুই একর জমির ওপর
নির্মিত ৪০টি ঘর ও জমির দলিল ৪০ জন হিজরাকে
হস্তান্তর করেন ওই সময়ের জেলা প্রশাসক আনারকলি
মাহবুব।
আরও পড়ুন