উত্তরপত্রে শুধু কোড নম্বর এবং আলাদা টপশিটে
কোড নম্বরসহ পরীক্ষার্থীর নাম, রোল ইত্যাদি লেখার নিয়ম।
কিভাবে এই ভুল হল সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো
উত্তর দেয়নি সাংবাদিকদের। বরং এই ভুল কোনো সমস্যা নয় বলে তাদের দাবি।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়রে উপ-সচিব
আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ বলেন, “উত্তরপত্রে ভুল হয়েছে সেটি দেখেছি। যারা নাম, রোল নম্বর
ও অন্যান্য তথ্য লিখেছেন তা মুছে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে।”
শুক্রবার বেলা আড়াইটায় সদর উপজেলার পাঁচটি
কেন্দ্রে একযোগে চার হাজার ১৬০ জন চাকরিপ্রার্থী এই পরীক্ষা দেন।
খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা
দেন নুকুল চাকমা নামে একজন চাকরিপ্রার্থী।
নুকুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“সরবরাহ করা ৬০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তরপত্রের ওপরে পরীক্ষার্থীর নাম,
রোল নম্বর ও উপজেলার নাম লেখার ঘর ছিল।
“আমরা তা পূরণ করি। কিছুক্ষণ পরে শিক্ষকরা
এসে উত্তরপত্র জব্দ করেন। পরে অন্যরাও তাদের উত্তরপত্রে একই রকম নির্দেশনা রয়েছে জানালে
শিক্ষকরা তা মুছে দিতে বলেন এবং সবার উত্তরপত্র ফেরত দেন।”
ওই কেন্দ্রের সচিব পাশেশ্বর পাল জানান, পার্বত্য
জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ এই প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পাঠায়। কিভাবে এই ভুল হয়েছে তা তার
জানা নেই।
খাগড়াছড়ি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা
মেহের ইয়াছমিন বলেন, “উত্তরপত্রে যে ভুল ছিল তা সংশোধন করা হয়েছে। এটি বড় কিছু না।”
২৫৮টি পদের বিপরীতে এই দিন পাঁচটি কেন্দ্রে
একযোগে চার হাজার ১৬০ জন চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দেন বলে তিনি জানান।