ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার
সাউথ্যাম্পটনের মুখোমুখি হবে চেলসি। আগের দিন ক্লাবটির কোচ দলকে আরও ঐক্যবদ্ধ থাকার
পরামর্শ দিলেন। সেই সঙ্গে শিষ্যদের নিজেদের শক্তির ওপর বিশ্বাস রাখার তাগিদ দিলেন তিনি।
গত বছর জানুয়ারিতে টুখেল
দায়িত্ব নেওয়ার পর চেলসির রক্ষণে উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এই জার্মানের হাত ধরে অল্প
সময়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে দলটি যেভাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ক্লাব বিশ্বকাপে জিতেছিল, তা ছিল
বিস্ময় জাগানিয়া। আর এই সাফল্যের মূলে ছিল তাদের শক্তিশালী রক্ষণদুর্গ।
সেই জমাট রক্ষণে হঠাৎ করেই
যেন ঘুন ধরেছে। বিশেষ করে গত ৬ দিনে দুই ম্যাচের চিত্র তাই ফুটিয়ে তুলছে।
গত শনিবার প্রিমিয়ার লিগে
ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে এক গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় ১০ মিনিটে ৩ গোল খেয়ে বসে তারা।
পরে আরেক গোল হজম করে হেরে যায় ৪-১ ব্যবধানে। এর চার দিন পর বুধবার আবারও ঘরের মাঠে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে হারে চেলসি।
টানা দুটি এমন ব্যর্থতার
পর চেলসির রক্ষণ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে দলের সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন টুখেল।
‘‘আশা করি, এটা আচমকা ঘটে
যাওয়া কিছু। আর এমনটা ভাবার যথেষ্ট কারণও আছে। সবকিছু স্বাভাবিক থাকার মাঝেই এটা হয়ে
গেছে… এরপরই আমরা গোল হজম করতে এবং হারতে শুরু করলাম। এটা চ্যালেঞ্জিং এবং আমাদের সমাধান
খুঁজে বের করতে হবে।“
‘‘আমাদের খুব বেশি চিন্তা
করা ঠিক হবে না। নিজেদের শক্তির ওপর নজর দেওয়া এবং বিশ্বাস রাখা জরুরি।’’
লিগে ২৯ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট
নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে চেলসি। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি
প্রথম এবং ৭২ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল আছে দ্বিতীয় স্থানে।
টুখেল অবশ্য স্বীকার করেছেন
দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে খুশি নন তিনি। তবে নিজেদের আত্মবিশ্বাসে এবং ঠাসা সূচির
জন্য কোনো সমস্যা ছিল না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
‘‘সূচি খুবই চ্যালেঞ্জিং,
কারণ আমরা মৌসুমের শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতাগুলোয় খেলব। আমি মনে করি, খেলার মিনিট হিসাব
করলে লিভারপুলসহ আমরা অনেক এগিয়ে আছি।… তাই আমরা যখন ব্রেন্টফোর্ড, সাউথ্যাম্পটন, ক্রিস্টাল
প্যালেস, আর্সেনালের মতো দলের বিপক্ষে খেলছি, তারা কিন্তু এতো ম্যাচ খেলছে না। বিষয়টা
চ্যালেঞ্জিং।’’
‘‘কিন্তু অজুহাত খোঁজা তো
ঠিক নয়। চেলসির মতো দলের হয়ে কাজ করলে বা খেললে এমনই হবে।’’