ক্যাটাগরি

টুইটার পরিচালনা পর্ষদে মাস্ক, শঙ্কায় কর্মীরা

এ সপ্তাহেই অনকেটা
আচমকা টুইটারের শতকরা ৯.২ ভাগ শেয়ার কিনে নেন বাকস্বাধীনতার স্বঘোষিত সমর্থক ইলন মাস্ক।
এর পরপরই মার্কিন রাজনীতিতে রক্ষণশীলদের একাংশ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে
টুইটারে ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি
মার্কিন ক্যাপিটলে সংঘটিত দাঙ্গায় সরাসরি ইন্ধন যোগানোর দায়ে টুইটারে ডনাল্ড ট্রাম্পকে
আজীবন নিষিদ্ধ করে সামাজিক মাধ্যমটি।

“এখন যেহেতু ইলন মাস্ক
টুইটারের সবচেয়ে বড় শেয়ার হোল্ডার, এখনই সময় এই মাধ্যম থেকে রাজনৈতিক কাঁচি ছুড়ে ফেলার।
আর হ্যাঁ, ডনাল্ড ট্রাম্পকে ফিরিয়ে আনো…” – বলেছেন কংগ্রেসে রিপাবলিকান সদস্য লরেন
ব্যেবার্ট।

যদিও টুইটার এ সপ্তাহে
স্পষ্ট করেই বলেছে যে, বোর্ড সদস্যরা টুইটারের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন না, অন্তত চারজন
টুইটার কর্মী রয়টার্সের কাছে তাদের শঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন। তাদের ভয়, ক্ষতিকর কনটেন্ট
এবং অন্যায়প্রবণ ব্যাবহারকারীদের প্রশ্নে হয়তো ইলন মাস্ক টুইটারের নীতিতে প্রভাব বিস্তার
করবেন।

টুইটার পর্ষদে মাস্ক
থাকার ফলে সামাজিক মাধ্যমটির দীর্ঘদিনে চর্চিত সবল নীতিকাঠামো সম্ভবত তার পরিচালন কৌশল
দ্বারা প্রভাবিত হবে। এবং এর ফলে কুরুচিপূর্ণ আর দলবদ্ধ আক্রমণের মতো বিষয় মাথাচাড়া
দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

কী করবেন মাস্ক?

ইলন মাস্ক এখনও টুইটার
নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা বলেননি। কিন্তু, শতকরা প্রায় ১০ শতাংশ শেয়ার কেনার আগেই তিনি
টুইটারে একটি জরিপ ছুড়ে দেন প্রায় আট কোটি অনুসারীর দিকে। তার প্রশ্ন ছিল, টুইটার কি
বাকস্বাধীনতার বিষয়টি ধারণ করে? বেশিরভাগই উত্তর দিয়েছেন না সূচক।

টুইটারে মাস্কের প্রভাব
নিয়ে শঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন যেসব কর্মীরা, তাদের সবাই কথা বলেছেন পরিচয় গোপন রাখার
শর্তে। তারা বলছেন, মাস্ক অতীতে তার সমালোচনাকারীদের শায়েস্তা করতে টুইটার ব্যবহার
করেছেন। উদাহরণ হিসেবে তারা ২০১৮ সালে থাইল্যান্ডে গুহায় আটকে পড়া শিশুদের উদ্ধারে
ব্রিটিশ ডুবুরীর সঙ্গে মাস্কের ঘটনার উল্লেখ করেন। উদ্ধারে মাস্কের পদ্ধতির সমালোচক
ওই ডুবুরীকে মাস্ক এক পর্যায়ে শিশুনীপিড়ক আখ্যা দেন।

এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে
টুইটার মুখপাত্র বলেন, “বোর্ড সদস্যরা গোটা সেবার বিষয়ে উপদেষ্টার ভূমিকা পলন করেন
কেবল, তারা বিভিন্ন বিষয়ে মতামতও দেন। কিন্তু প্রতিদিনের কার্যক্রম চালান টুইটারের
কর্মীরা আর এর ব্যবস্থাপকরা।”

“‎টুইটার তার নীতিমালা
ও নিয়মাবলীর উন্নয়ন ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতার প্রশ্নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
– তিনি বলেন।

এক কর্মী এর জবাবে
বলেন, এটা বিশ্বাস করা কষ্টকর যে টুইটারের কার্যক্রমে বোর্ডের প্রভাব থাকে না।

“তা-ই যদি হবে,
তবে তিনি বোর্ড সদস্য হতে চাইলেন কেন?”