পুলিশে কর্মরত এক কনস্টেবল গত ৩০ মার্চ প্রকাশিত ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে নিয়োগে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে খবর বের হলে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে বেশ আলোচনা হয়, যাতে পুলিশ কর্মকর্তারাও তাকে প্রশংসায় ভাসান।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে পুলিশ ক্যাডারের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে হাকিমও সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন।
তবে পরে যাচাইয়ে বিসিএসে তার এমন কৃতিত্বের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, এ পুলিশ সদস্য প্রায় এক বছর ধরে লাপাত্তা।
“প্রায় এক বছর আগে ডিএমপিতে ছিল। ঢাকা রেঞ্জে বদলি হওয়ার পর ডিএমপি থেকে ছাড়পত্রও নিয়েছে। কিন্তু নতুন কর্মস্থলে যোগ দেয়নি। তাকে এ মুহূর্তে ডিএমপি বা ঢাকা রেঞ্জের সদস্য কোনোটাই বলা যাচ্ছে না।”
তার দাবির কোনো ‘সত্যতা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি’ জানিয়ে তিনি বলেন, তার ব্যাপারে ডিএমপি থেকে একটি তদন্ত কমিটি করার প্রক্রিয়া রয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে এ কমিটি গঠন করা হতে পারে।
তার মানসিক সমস্যাও থাকতে পারে বলে মনে করেন ঊর্ধ্বতন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এ কনস্টেবল ৪০তম বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছেন এরকম তথ্য প্রমাণ এখনও পাননি পুলিশ কর্মকর্তারা।
বিসিএসের ফল প্রকাশের পর পুলিশের নিম্নপদে চাকরি করা অবস্থা থেকে স্নাতক পাশ করা এবং বিসিএস দেওয়ার ‘চমকপ্রদ গল্প’ তুলে ধরেন হাকিম। কষ্টকর ওই চাকরির পাশাপাশি পড়ালেখার জন্য কতটা নিবেদিত ছিলেন এবং কীভাবে সেই সংগ্রাম চালিয়েছেন সেই কথা অনবদ্যভাবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন এ যুবক।
বাহিনীর একজন সদস্যের এমন সাফল্যের বিষয়টি সামনে আসার পর তা নিয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে নায়েক হাকিম এক বছর ধরে লাপাত্তা বলে জানতে পারে পুলিশ। তারপর এ কৃতিত্ব নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে তিনি বিসিএস দিয়েছেন এমন তথ্য প্রমাণ পায়নি পুলিশ।
ফল প্রকাশের পর যে মোবাইল ফোন নম্বর থেকে তিনি কথা বলেছিলেন সেটি বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।