বুধবার এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়।
‘নিরস্ত্রীকরণ’ ও ‘নাৎসিমুক্ত’ করার ঘোষণা দিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একে বিনা উসকানিতে হামলা বলে অভিহিত করছে পশ্চিমা দেশগুলো।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, ইউক্রেইনে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সেখানকার বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত ইউক্রেইনীয় নাগরিকদের বিষয়ে ভিসা নীতিমালা-২০০৬’ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্তগুলো হলো:
>> ইউক্রেইনের নাগরিকদের যারা সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে নিয়োজিত অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন হলে ভিসা নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
>> ইউক্রেইনের নাগরিকদের বাংলাদেশে অতিরিক্ত অবস্থানের বিষয়টি ভিসা নীতিমালার পরিপত্র অনুযায়ী ‘অনিবার্য কারণে যেমন- প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, ফ্লাইট বাতিল ইত্যাদি কারণে কেউ অবস্থান করলে অবৈধ বলে গণ্য হবে না।
>> ইউক্রেইনের নাগরিকদের ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সার্বিক সহায়তা দেবে।
বাংলাদেশে অবস্থানরত ইউক্রেইনীয় নাগরিকদের সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ এবং সমন্বয়ের জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (বহিরাগমন-১) মো. শাহরিয়াজ এবং বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শিহাব উদ্দিন খানকে ফোকাল পয়েন্ট নিযুক্ত করা হয়েছে বলেও চিঠিতে জানানো হয়।