আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে প্রথম ৩ ওভারে মুস্তাফিজ দেন মাত্র ১২ রান, ছিল না কোনো বাউন্ডারি। সমীকরণ যখন ১২ বলে ১৯। নিজের শেষ ওভারে এসে তখন একটি ছক্কায় বাংলাদেশের পেসার দেন ১৪ রান। দিল্লির ১৪৯ রান ৬ উইকেট ও ২ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় লক্ষ্ণৌ।
৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন মুস্তাফিজ। আগের ম্যাচে দিল্লির হয়ে অভিষেকে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
লক্ষ্ণৌর জয়ের নায়ক কুইন্টন ডি কক। ৫২ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৮০ রানের ইনিংস খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্পোর্টস একাডেমি মাঠে বৃহস্পতিবার কিছুটা মন্থর উইকেটে ইনিংসের প্রথম ওভারে মুস্তাফিজ বল হাতে পান, একটি ওয়াইডসহ দেন ৫ রান। তার সামনে তেমন সুবিধা করতে পারেননি ডি কক ও লোকেশ রাহুল।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তিনি যখন বোলিংয়ে ফেরেন, তখন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ডিক কক। আগের ওভারে এই কিপার-ব্যাটসম্যান স্বদেশী আনরিক নরকিয়াকে তিনটি চারের সঙ্গে ছক্কা মারেন একটি।
তবে মুস্তাফিজ বেঁধে রাখেন ডি কককে, ৪ বল খেলে নিতে পারেন স্রেফ একটি সিঙ্গেল। একটি ওয়াইডসহ এই ওভার থেকে আসে মাত্র ৩ রান।
কুলদিপ যাদবের বলে ডি কক ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেওয়ার পরই আবার বোলিংয়ে আসেন মুস্তাফিজ। তখন ২৪ বল থেকে লক্ষ্ণৌর দরকার ২৮ রান, হাতে উইকেট ৭টি। এই ওভারেও দারুণ বোলিংয়ে চারটি সিঙ্গেল থেকে মুস্তাফিজ দেন কেবল ৪ রান।
শেষ দুই ওভারে ১৯ রানের সমীকরণে বোলিংয়ে এসে প্রথম দুই বল থেকে তিনি দেন দুই রান। তৃতীয় বলটা স্লোয়ার পেয়ে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কায় ওড়ান ক্রুনাল পান্ডিয়া। পরের তিন বল থেকে তিনটি ডাবলে আসে আরও ৬ রান।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ৫ রান। শার্দুল ঠাকুর প্রথম বলে ফিরিয়ে দেন দিপক হুডাকে। এক বল পর টানা চার-ছক্কায় ম্যাচের ইতি টানেন আয়ুশ বাদোনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পৃথ্বী শর দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৪৮ রান তোলে দিল্লি। কিন্তু পৃথ্বী ৩৪ বলে ৬১ রান করে বিদায় নেওয়ার পর কমে যায় রানের গতি।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক রিশাভ পান্ত (৩৬ বলে ৩৯) ও সরফরাজ খানের (২৮ বলে ৩৬) ৫৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭৫ রানের জুটিতে দেড়শ রানের লক্ষ্য দিতে পারে দিল্লি। সেটি যথেষ্ট হলো না জয়ের জন্য।
জয়ে আসর শুরুর পর টানা দুই ম্যাচ হারল দিল্লি।