ক্যাটাগরি

কুয়েটের অন্তুর আত্মহত্যার ঘটনায় জাবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

শুক্রবার বেলা
১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভের
সময় শিক্ষার্থীরা ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে স্লোগান দেয়।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের
মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রধান ফটক সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার কুয়েটের
শিক্ষার্থী অন্তু রায়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বকেয়া ফির টাকা দিতে না পেরে
ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। এ সময় তারা শিক্ষার্থী হত্যার
দায় রাষ্ট্রকে নিতে হবে বলে দাবি করেন। অবরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক
সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

একদিকে দ্রব্যমূল্যের
ঊর্ধ্বগতির কারণে রিকশাচালক জরিমানা দিতে না পেরে আত্মহত্যা করছে অন্যদিকে অতিরিক্ত
ফির জাঁতাকলে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করছে বলে অভিযোগ করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট
জাবি শাখার সভাপতি আবু সাঈদ।

তিনি বলেন,
“মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে;
অতিরিক্ত বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার্থীদের খাদ্যে পুষ্টির নিশ্চয়তা দিতে হবে।”

জাহাঙ্গীরনগর
সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সামি আল জাহিদ প্রীতম বলেন, ”রাষ্ট্র ব্যবস্থা অন্তু
রায়ের মতো আরও অনেক শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত করছে। কুয়েটে অন্তু রায় আত্মহত্যা
করেছে, আবার দেখা যাবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও অন্য একজন আত্মহত্যা করেছে। আশা করব, রাষ্ট্র
আশু ব্যবস্থা নিবে এই সমস্যা সমাধানে, সামনে যেন এরকম পরিস্থিতি আর না হয়।”

অবরোধে বাংলাদেশ
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফি এমনভাবে
বাড়ানো হচ্ছে যেখানে মেধাবী শিক্ষার্থীরা চান্স পেলেও পড়তে পারবে না। এরকম ফি দিতে
না পেরে শিক্ষার্থীরা হতাশ আত্মহত্যা করছে। ১৩ বছরের দুঃশাসনের এই পরিণতি আজকে বাংলাদেশের।”

এ সময় প্রতিনিয়ত
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফি বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ছাত্র ইউনিয়নের এ নেতা।  

তিনি বলেন, “কুয়েটের
ডাইনিংয়ে না খেলেও ফি পরিশোধ করতে হচ্ছে, সাভারে একজন রিকশাচালককে পুলিশ ২০ হাজার টাকা
জরিমানা করলে রাগে-ক্ষোভে উপার্জনের কোনও পথ না পেয়ে ওই রিকশাচালক আত্মহত্যা করেছে;
শরীয়তপুরে একজন শিক্ষার্থী ২০০ টাকা ফির জন্য আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনাগুলো প্রতিনিয়ত
ঘটছে।”

মহাসড়ক অবরোধের
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা শাখা) জেফরুল হাসান চৌধুরী
সজল উপস্থিত হন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষণ সড়ক অবরোধ করে রাখে। আমি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে
অবহিত করি এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা নিজ থেকেই অবরোধ তুলে
নেন।”

এ বিষয়ে প্রক্টর
আ স ম ফিরোজ উল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যারা মহসড়ক অবরোধ করেছিল
আমি তাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম মহাসড়ক ছেড়ে দিতে। শিক্ষার্থীরাও আমার কথা রেখে তাদের
কার্যক্রম শেষ করে নিজ থেকেই অবরোধ উঠিয়ে নেয়।”