ক্যাটাগরি

গোপালগঞ্জে ’ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যু’, তদন্তে কমিটি

কমিটির সামনে গৃহবধূর স্বামী মো. বেলাল হোসেন মোল্লাকে আগামী ১০ এপ্রিল ’ভুল চিকিৎসায়’ স্ত্রীর মৃত্যুর প্রমাণ উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

বেলাল উপজেলার উত্তরপাড়া কুঞ্জবন গ্রামের বাসিন্দা।

গত ৪ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন বেলাল।

অভিযোগে বলা হয়, গত ৬ মার্চ তিনি তার স্ত্রী শম্পা বেগমকে (৩২) কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক না পেয়ে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শাওন সিকদার টুটুর বাসায় নেন। সেখানে ভিজিট দিয়ে তাকে দেখান। টুটু প্রাথমিক চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র দিয়ে স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। বাড়ি নিয়ে ওই ওষুধ খাওয়ালে অবস্থার অবনতি হয়। তাকে ফের ওই হাসপাতালে নেন তিনি। সে সময় টুটুকে পাননি হাসপাতালে। টুকুকে মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তিনি ওই ওষুধ চালিয়ে যেতে বলেন। পরদিন বেলাল তার স্ত্রীকে আরও অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে নেন।তখন টিকিৎসক টুটু বলেন, তাকে আগেই হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত ছিল। টুটু তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেন। পরে টুটু তাকে খুলনায় নিতে বলেন। এরপর কয়েকটা হাসপাতাল ঘুরে বেলাল তার স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে  ১৬ মার্চ তার স্ত্রী মারা যান।

বেলালের অভিযোগ, “চিকিৎসক টুটুর ভুল চিকিৎসায় স্ত্রীকে হারিয়েছি। তাছাড়া ঋণ নিয়ে স্ত্রীর পেছনে দুই লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন দুই সন্তান নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছি। চিকিৎসক শাওন সিকদার টুটুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানাচ্ছি।”

অভিযোগ বিষয়ে চিকিৎসক টুটু বলেন, “বেলালের স্ত্রীর আগে থেকেই হার্ট, কিডনি ও ডিআইসির সমস্যা ছিল। এছাড়া তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। এ অবস্থায় ডায়রিয়া নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন। চিকিৎসার পর তার অবস্থা ভাল হলে তার স্বামী তাকে বাড়ি নিয়ে যান। তখন তাকে ঢাকা অথবা বরিশালে হার্টের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যুর সনদে ‘ইনকেফানাইটিসে মৃত্যুর কারণ’ লেখা হয়েছে। বেলাল ভুল চিকিৎসার কোনো প্রমাণ দিতে পারবেন না।”

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নন্দা সেনগুপ্তা।