পোর্ট
এলিজাবেথ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা দিন শেষ করেছে ২৭৮ রান নিয়ে,
বাংলাদেশ নিতে পেরেছে ৫ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা তাই একটু এগিয়েই। তবে আর একটি উইকেট
নিতে পারলে দুই দল থাকত সমতায়, দুই উইকেটে দিনটি হতে পারত বাংলাদেশের। তাইজুলের আক্ষেপ
সেখানেই।
উইকেটে
বোলারদের সহায়তা খুব একটা নেই। তবে দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল বললেন, আরও চাপ
সৃষ্টি করতে না পারার দায়টা তাদেরই।
“উইকেটে
প্রথম এক ঘণ্টার মতো সহায়তা ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে অনেক ফ্ল্যাট হয়ে যায়। আমরা যদি
আরও একটু কমে তাদেরকে রাখতে পারতাম, হয়তো বা তাদের আরও একটু চাপটা বেশি হতো। চাপটা
যদি বেশি হতো, তাহলে আরও দু-একটা উইকেট পড়ার চান্স ছিল। আমার মনে হয় একটু ইয়ে হয়ে গেছে
আর কী… সামান্য কিছু।”
‘ইয়ে’
বলতে তাইজুল হয়তো বোঝাতে চাইছিলেন চাপ আলগা করে দেওয়ার ব্যাপারটিই। বিশেষ করে দিনের
শুরুতে যখন উইকেটে কিছুটা সহায়তা ছিল, তখন তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। পেসার-স্পিনার,
সবারই বোলিং ছিল একটু এলোমেলো। প্রথম ১০ ওভারে বাউন্ডারি আসে ৭টি। প্রথম ২৫ ওভারে কেবল
৫টি বল ছিল স্টাম্পে।
পরে
তাইজুলের হাত ধরেই লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে তিনি আউট করেন ৭০ রান করা ডিন
এলগার ও ৬৪ রান করা কিগান পিটারসেনকে। পরে শেষ সেশনে রায়ান রিকেলটনকে থামিয়ে তিনি ভাঙেন
দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় জুটিও।
লাঞ্চের
আগে বোলিংয়ে এসে চা বিরতির পর পর্যন্ত এক পর্যায়ে টানা ২৪ ওভার বোলিং করেন তিনি। দক্ষিণ
আফ্রিকার রানের লাগাম টেনে ধরার পাশাপাশি আদায় করে নেন উইকেটও।
তাইজুল
বললেন, ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝেই তিনি নিজের বোলিং পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন।
“আমি
চেষ্টা করছি। আসলে এই উইকেটে বেশি জোরাজুরি করার কিছু নেই। কারণ দেখা যাচ্ছে, একটু
স্টাম্পের বাইরে বা ওপরে হলে রান হয়ে যায়। জায়গা ধরে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আমি
আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।
“ভালো
খেয়াল করলে দেখবেন, লাঞ্চের আগে আমি ৫ ওভার করেছি। তখন আমি বেশি কিছু করার চেষ্টা করিনি।
কারণ ওই সময় ওদের রানরেট একটু বেশি ছিল। আমার পরিকল্পনা ছিল, রানরেট যদি একটু কমিয়ে
আনতে পারি, তাহলে আমি গতি বৈচিত্রের দিকে যাব। চেষ্টা করেছি লাঞ্চের আগে যতটা রান কম
দেওয়া যায়। পরে এসে চেষ্টা করেছি রান কমের মধ্যে যদি উইকেট পাওয়া যায়।”