বৃহস্পতিবার বিরিশিরি
পি.সি. নল মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনায় আহত গারো নৃ-গোষ্ঠীর ওই শিক্ষার্থীকে
(১৭) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অপর কিশোরকে
(১৭)।
আহত কিশোরের অভিভাবক
রাতেই দুর্গাপুর থানার নয়জনের নামে মামলা করেছেন। এতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
এরা সবাই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
মামলার বরাত দিয়ে
শুক্রবার দুর্গাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মীর মাহাবুবুর রহমান বলেন, “এসএসসি টেস্ট
পরীক্ষার সময় এক কিশোর মোবাইল ফোন দেখে নকল করছিল। পাশের সহপাঠী এর প্রতিবাদ করে। এতে
নকল করা কিশোর ক্ষিপ্ত হয়ে তার সহপাঠীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করে। ওই সময়
উপস্থিত শিক্ষক ও সহপাঠীরা পরিস্থিতি শান্ত করে।
“কিছুক্ষণ পর খাতা
রেখে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে যায় নকল করা কিশোরটি। ঘণ্টাখানেক পরে সে কয়েকজন সঙ্গী
নিয়ে স্কুলে ফিরে আসে। তাদের হাতে ছিল মোটরসাইকেলের চেইন, রামদা ইত্যাদি। তারা পরীক্ষার
হলে ঢুকে নকলের প্রতিবাদ করা কিশোরকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে চলে যায়।”
এর পর শিক্ষাথীরা
আহত কিশোরকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
ওসি জানান, গ্রেপ্তার
কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে বিরিশিরি
পি. সি. নল মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা
হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।